নয়াদিল্লি: অবশেষে গণ আদালতের রায় মেনে উড়িশার অপহৃত বিধায়ক ঝিনা হিকাকাকে মুক্তি দিল মাওবাদীরা।
গণআদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৃহস্পতিবার তাকে ছাড়া হবে বলে জানিয়েছিল কমরেড রামকৃষ্ণণ ও দয়া`র নেতৃত্বাধীন সিপিআই(মাওবাদী)-র অন্ধ্রপ্রদেশ- উড়িশা স্পেশাল বর্ডার জোনাল কমিটি।
এদিন সকাল ১০টায় কোরাপুট জেলার বালিপেটার অদূরে জঙ্গল লাগোয়া এক গ্রামে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। মাওবাদীদের শর্ত অনুযায়ী মুক্তির সময় ঝিনা হিকাকার স্ত্রী ও আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন বালিপেটার সেই গ্রামে।
গত ২৪ মার্চ কোরাপুট শহরের অনতিদূরের জঙ্গল থেকে অপহরণ করা হয়েছিল লক্ষ্মীপুরের বিধায়ক ঝিনা হিকাকাকে।
ঠিক তার আগে ১৪ মার্চ মাওবাদীরা ক্লডিও কোলাঞ্জেলো এবং পাওলো বসুস্কো নামে দুই ইতালীয় নাগরিককে অপহরণ করেছিল মাওবাদীদের উড়িশা অর্গানাইজিং কমিটির প্রধান সব্যসাচী পাণ্ডার নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠী।
১১ দিন পণবন্দি থাকার পর গত ২৫ মার্চ ছাড়া পেয়েছিলেন অসুস্থ ক্লডিও কোলাঞ্জেলো। পরে মাওবাদীদের দেওয়া শর্ত অনুযায়ী সব্যসাচীর স্ত্রী শুভশ্রী পাণ্ডা-সহ বেশ কয়েকজনের মুক্তি দেয় উড়িশা সরকার। এরপর পাওলোকে ছেড়ে দেয় সব্যসাচী পাণ্ডার গোষ্ঠীর মাওবাদীরা।
অপহৃত বিধায়ককে ছাড়াতেও গত একমাস ধরে সব্যসাচী পাণ্ডার বিরোধী গোষ্ঠীর মাওবাদী নেতাদের দ্বারা পরিচালিত মাওবাদীদের অন্ধ্র- উড়িশা বর্ডার স্পেশাল জোনাল কমিটির সঙ্গে মধ্যস্থতাকারী মারফত আলোচনা চালিয়ে আসছিল সরকার।
প্রাথমিকভাবে বিধায়কের মুক্তির বিনিময়ে মাওবাদীরা ২৩ জনের মুক্তির দাবি তোলে। এদের মধ্যে মাও-নেত্রী আরতি-সহ ৫ জনকে জেল থেকে ছাড়া হলেও বাকিদের নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। অবশেষে গত ২৫ এপ্রিল গণআদালতে বিচারের বুধবার বিধায়কের মুক্তির আশ্বাস মেলে মাওবাদীদের তরফে।
তবে মুক্তির শর্ত হিসেবে মাওবাদী প্রভাবিত `চাষি মুলিয়া আদিবাসী সংঘ`-এর সাবেক সদস্য ঝিনা হিকাকার কাছ থেকে বিধায়ক পদ ও বিজু জনতা দলের সদস্যপদ ছাড়ার প্রতিশ্রুতি আদায় করেছে মাওবাদীদের অন্ধ্রপ্রদেশ-ওড়িশা স্পেশাল বর্ডার জোনাল কমিটি।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১২
আরডি/ সম্পাদনা: জাকারিয়া মন্ডল, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর