আগরতলা (ত্রিপুরা) : বাংলাদেশের উন্নয়ন হলে, উন্নতি ঘটবে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিরও। বৃহস্পতিবার ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে একথা বলেন দিল্লিস্থি বাংলাদেশের হাই কমিশনার তারেক আহমেদ করিম।
এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছিল। সেমিনারের বিষয় বস্তু ছিল, ‘‘ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চল এক যুগসন্ধিক্ষণেঃ ত্রিপুরা হতে পারে ভারত এবং বাংলাদেশের আর্থিক ও সংযোগের রাস্তা’’। বিশেষ এই আন্তর্জাতিক সেমিনার চলবে শুক্রবারও।
সেমিনারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তারেক আহমেদ করিম বলেন, ‘ভারত, নেপাল এবং বাংলাদেশকে আরও উন্নত রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তুলতে প্রয়োজন নিজেদের মধ্যে রেল, জলপথ এবং সড়ক যোগাযোগ মজবুত করা। ’
তিনি বলেন, ‘উন্নত যোগাযোগ গড়ে তোলা গেলেই এই অঞ্চলের সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা যাবে। ’
ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিক, সর্বজিত চক্রবর্তী বলেন, ‘ঢাকা এবং দিল্লি নিজেদের মধ্যে জমে থাকা সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে রাজি। এ ব্যাপারে দুই দেশই আন্তরিক। ’
তারিক জানান, ‘বাংলাদেশ এরই মধ্যেই রাজি হয়ে গেছে নেপাল ভুটানকে মংলা এবং চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করতে দেওয়ার ব্যাপারে। ওই দুটি দেশ ট্রানজিটের মাধ্যমে বন্দর দুটি ব্যবহার করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে ভারত এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্র নেতারা যতবার বৈঠক করেছেন, প্রত্যেকবারই সে সব আলোচনায় উঠে এসেছে উত্তর পূর্বাঞ্চলের কথা। ভারতের এই অঞ্চলটি ভৌগলিকভাবে সমস্যায় আছে। যোগাযোগের তেমন সুবিধা নেই। এই সমস্যা দূর করা গেলে এই অঞ্চলটি সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে। ’
তারিকের বক্তব্যে উঠে আসে তিস্তা জল বণ্টন চুক্তির কথাও।
তিনি বলেন, ‘আমরা অধীর আগ্রহে এই চুক্তির দিকে তাকিয়ে আছি। ’
তারেকের অভিমত, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন হলে, উন্নতি ঘটবে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিরও উন্নয়ন ঘটবে। আর এই রাজ্যগুলির উন্নয়ন ঘটলে তার সুবিধা পাবে ভারত বর্ষ। ’
সর্বজিত চক্রবর্তী বলেন, ‘আমরা চাইছি দুই দেশের মধ্যে বিশ্বাসের ভিত্তি মজবুত হোক। ’
তিনি জানান, বাংলাদেশের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ভারত সরকার ৮৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্য দিয়েছে। তিনি জোর দেন দুই দেশের বিনিয়গকারীদের বিনিয়গের উপর।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আধ্যাপক ওম প্রকাশ মিশ্র। সেমিনারের সভাপতি ছিলেন ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক অরুণোদয় সাহা।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১২
প্রতিনিধি/ সম্পাদনা: জাকারিয়া মন্ডল, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর