ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

মাওবাদীরা মুক্তি দিলো জেলাশাসক অ্যালেক্স পল মেননকে

নয়াদিল্লি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪২ ঘণ্টা, মে ৩, ২০১২

কলকাতা: ছত্তিসগড়ের অপহৃত জেলাশাসক অ্যালেক্স পল মেননকে ১২ দিন পর বৃহস্পতিবার মুক্তি দিল মাওবাদীরা ৷

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জঙ্গলে মধ্যস্থতাকারীদের হাতে মেননকে তুলে দেওয়া হয়েছে।

যদিও সরকারের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি।

জেলাশাসক সুকমায় পৌঁছনোর পর তা করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

গত ২১ তারিখ অ্যালেক্সকে অপহরণ করে মাওবাদীরা ৷জঙ্গল থেকে তারমেটলা পর্যন্ত হেঁটে আসবেন জেলাশাসক ৷তারপর তারমেটলা থেকে চিন্তলনার পর্যন্ত অ্যালেক্স পল মেনন গাড়িতে আসবেন বলে জানা গেছে।

২১ এপ্রিল ছত্তিশগড়ের সুকমা জেলার জেলাশাসককে অপহরণ করে মাওবাদীরা। মাওবাদীদের একটি দল তার দুই দেহরক্ষীকে হত্যা করে এই অপহরণ অপারেশন চালায়।

সে সময় কাছের একটি গ্রামেই গ্রাম স্বরাজ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে ফেরার পথেই তার কনভয় আটকে দাঁড়ায় ১৫-২০ জনের সশস্ত্র মাওবাদীদের একটি দল ৷মোটরবাইকে করে এসেছিল তারা।  

জেলাশাসকের দেহরক্ষীরা বাধা দিতে গেলে মাওবাদীদের গুলিতে তারা নিহত হন। তারপর অ্যালেক্সকে গাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যায় মাওবাদীরা। খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছ‍ায় বিশাল পুলিশবাহিনী। অ্যালেক্সের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়।

সূত্রের খবর, সুকমার জেলাশাসককে মাওবাদীরা টার্গেট করতে পারে বলে আগাম তথ্য দিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এদিন জেলাশাসক অপহরণের খবর পাওয়া মাত্রই রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন। উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহ।

সমাজকর্মী স্বামী অগ্নিবেশ ওই জেলাশাসককে মুক্তি দেওয়ার জন্য মাওবাদীদের কাছে আবেদন করেন। সুকমা জেলাটি মাওবাদী অধ্যুষিত দন্তেওয়াড়া জেলার নিকটবর্তী। সেখান থেকে উড়িশা সীমান্তও খুব কাছে। এও জানা গেছে নিজের জেলার উন্নয়নের কাজে অত্যন্ত তৎপর ছিলেন মেনন। অতীতে তাকে আরও নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে ঘোরার পরামর্শও দেওয়া হয়েছিল।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১২
আরডি/সম্পাদনা: আহমেদ জুয়েল, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।