কলকাতা: মোদি পদবিধারীদের মানহানি মামলা থেকে রেহাই পেতে মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) রাহুল গান্ধী আর্জি জানিয়েছেন গুজরাট হাইকোর্টে।
কংগ্রেস নেতা, আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি এদিন জানান, এই ধরনের মামলায় সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
মূলত, হাইকোর্টে রাহুলের পক্ষে সাজা বাতিলের আর্জি জানানো হয়েছে। সাজা বাতিল বা ২ বছরের কম কারাবাস হলেই কংগ্রেস নেতা তার সংসদ সদস্য পদ ফিরে পাবেন।
মানহানির মামলায় গত ২৩ মার্চ রাহুল গান্ধীকে ২ বছরের কারাদণ্ড দেয় সুরাটের নিম্ন আদালত। সুরাট আদালতের সেই সিদ্ধান্তের জেরে একদিন পরেই সাংসদ সদস্য পদ খোয়াতে হয় কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধীকে।
সাজা শোনানোর পরই রাহুলকে ৩০ দিনের জন্য শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়া হয়। একইসঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়, এই ৩০ দিনের মধ্যে উচ্চতর আদালতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করারও সুযোগ পাবেন রাহুল।
পরে এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুরাটের নগর-দায়রা আদালতে মামলা করেন রাহুল। গত ১৩ এপ্রিল মামলাটি উঠে সুরাটের নগর-দায়রা আদালতে। ২০ এপ্রিল শুনানিতে রাহুলের দাবি ছিল, তার রাজনৈতিক পরিচয়ে প্রভাবিত হয়ে অতিরিক্ত শাস্তি দিয়েছে নিম্ন আদালত। কিন্তু নগর দায়রা আদালতের বিচারক পি মোগেরা. রাহুলকে কোনোরকম স্বস্তি দেননি। রাহুলের আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল নগর দায়রা আদালতও। সেদিনই কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ইঙ্গিত দিয়ে রাখা হয়েছিল, আরও উচ্চতর আদালতে মামলা দায়ের করবেন রাহুল।
তবে নিম্ন আদালতের নির্দেশ নগর-দায়রা আদালত বহাল থাকলেও সেদিন রাহুল গান্ধীকে একটি বিষয়ে স্বস্তি দেওয়া হয়েছিল। জামিনের আবেদন নিয়ে চূড়ান্ত আইনি লড়াই শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি মুক্ত, অর্থাৎ পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না। রাহুলেরও আদালতে আত্মসমর্পণ করার প্রয়োজন নেই।
অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি জানান, মঙ্গলবার গুজরাট হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেও শুনানির বিষয়ে আদালত এখনও কিছু জানায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২৩
ভিএস/আরএইচ