কলকাতা: দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় মোখায় পরিণত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) সকালেই অতি গভীর নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে।
রোববার (১৪ মে) দুপুরের আগে কক্সবাজারের দক্ষিণের ভূ-পৃষ্ঠ ছোবে মোখা। ল্যান্ডফলের সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ পৌঁছাতে পারে ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটার।
কলকাতার আবহাওয়া জানাচ্ছে, মূলত এই ঘূর্ণিঝড়টি মধ্য বঙ্গোপসাগরের ওপর দিয়ে চলে যাবে। এর প্রভাব থাকবে উত্তর বঙ্গোপসাগরের ওপর। তাই উত্তর বঙ্গোপসাগরে মৎস্যজীবীদের মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। মোখার প্রভাবে আন্দামান-নিকোবরেই যা বৃষ্টি হওয়ার হবে। তবে পশ্চিমবঙ্গে মোখার প্রভাব সরাসরি পড়বে না। উপকূলের তিন জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
কিন্তু বৃহস্পতিবার-শুক্রবার দু’দিনই তাপপ্রবাহ চলবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
আগামী শনিবারই (১৩ মে) রাজ্যের দক্ষিণের জেলায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। যা চলতে পারে রোববার (১৪ মে) পর্যন্ত।
কলকাতায় বৃষ্টির পূর্বাভাস না দিলেও আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, কলকাতা সংলগ্ন তিন জেলা অর্থাৎ দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি না হলেও শনিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের ৯টি জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা থাকছে না। এরমধ্যে রয়েছে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, পুরুলিয়া এবং ঝাড়গ্রাম। তবে শুক্রবার অবদি কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বুত্তর ও দক্ষিণ বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা থাকছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২৩
ভিএস/এএটি