ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

এবারই প্রথম বাংলার পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির হেভিওয়েটরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৭ ঘণ্টা, জুন ২, ২০২৩
এবারই প্রথম বাংলার পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির হেভিওয়েটরা

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ভোটে এর আগে এমনটা দেখা যায়নি। জুন মাসেই রাজ্যে আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।

 

রাজ্যটির উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে তিন জায়গায় সভা করবেন তারা। ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে করবেন সম্পর্ক যাত্রাও।  

বিজেপির এ তিন মহারথীর বঙ্গ সফরে আসার খবর জানিয়েছে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।  

তবে কবে, কোথায় এ সভা হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। সুকান্ত জানান, বৃহস্পতিবার (১ জুন) থেকে পশ্চিমবঙ্গে শুরু হয়েছে বিজেপির ‘সম্পর্ক অভিযান’। ৩০ জুন পর্যন্ত চলবে এ কর্মসূচি। এর মধ্যে ২০ জুন থেকে ১০ দিন চলবে ‘গৃহ সম্পর্ক অভিযান’। তারই মধ্যে আসবেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ববৃন্দ।

যা নিয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কটাক্ষ করে বলেছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যজুড়ে ‘নবজোয়ার যাত্রা’ দেখে ভয় পেয়ে গেছে বিজেপি। তাই বিজেপিকে অক্সিজেন দিতে বাংলায় আসতে হচ্ছে মোদি-শাহ-নাড্ডর মত নেতাদের।

মূলত, তৃণমূল তাদের নবজোয়ার কর্মসূচিতে বাংলার বিরুদ্ধে কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগকে সামনে আনছে। তার পাল্টা হিসেবে দুই অভিযান কর্মসূচিতে মোদি সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের তথ্য তুলে ধরতে চায় বিজেপি। মমতার সরকার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে যে বঞ্চনার অভিযোগ তুলছে, তার মোকাবিলাতেই এ কৌশল নিয়েছে বিজেপি।

২০২৪ সালে ভারতে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে দুই দলই পর্যবেক্ষণ করছে পশ্চিমবঙ্গের গ্রামগুলোকে। কারণ, গ্রাম স্তরের ভোটারদের সমর্থন যে দলের পক্ষে যতবেশি থাকবে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাজিমাত করবে সে দলই। বিজেপি এটা বুঝেছে কর্নাটক হারের পর, দক্ষিণ ভারত এখন প্রায় বিজেপিহীন। ফলে পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যগুলো থেকে যত আসন সংখ্যা বাড়াতে পারবে ততই কেন্দ্রে ফের ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে নরেন্দ্র মোদির দল।

বাংলাদেশ সময়: ১১০১ ঘণ্টা, জুন ২, ২০২৩
ভিএস/এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।