কলকাতা: সল্টলেকের ইন্দিরা ভবনে নজরুল একাদেমীকে ঘিরে যে বির্তক শুরু হয়েছে তাতে বিরক্ত হয়ে এবার অন্য সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
রাজ্য সরকারের জোট শরিক কংগ্রেসের আচরণে ‘ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইন্দিরা ভবনের জায়গায় নজরুল ভবন করবেন না বলে একপ্রকার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন বলে জানা গেছে।
আগামী ২৫ মে, নজরুল মঞ্চে কবির নামাঙ্কিত যে ভবনের শিলান্যাস করবেন মুখ্যমন্ত্রী, সেটি হবে কলকাতার নিউটাউন রাজারহাটে হিডকো-র পুরনো ভবনের উল্টো দিকের জমিতে।
তৃণমূলের একটি সূত্র জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মনে করেন, সল্টলেকে ইন্দিরা গান্ধির নামাঙ্কিত বাড়িতে নজরুলের নামে ভবন হলে সেখানে দেশ-বিদেশের মানুষ আসতেন। একটা তীর্থক্ষেত্রের চেহারা নিত সেই বাড়ি। কিন্তু তা করা যাচ্ছে না ‘অন্যায় প্রচারে’র জন্য। এই অবস্থায় সরকার ‘সম্মানের সঙ্গে’ সরে আসারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইন্দিরা ভবনে তিনি যা করতে চেয়েছিলেন, নিউটাউনের প্রস্তাবিত জায়গায় তা আরও বড় আকারে গড়ে তুলতে চান মুখ্যমন্ত্রী। সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ থেকে রাজারহাটে ঢোকার মুখেই রয়েছে পুরনো হিডকো ভবন। তার উল্টো দিকে ২ একর জমিতে নজরুলের নামে তৈরি হবে নতুন ভবন।
সেখানে থাকবে নজরুল ভবন, নজরুল অ্যাকাডেমি এবং নজরুল গবেষণাকেন্দ্র। সব মিলিয়ে জায়গাটার নাম হতে পারে ‘নজরুল তীর্থ’।
মুখ্যমন্ত্রীর ভাবনায় রয়েছে, হিডকো-র পুরনো বাড়িটিকে তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী হিসাবে তার নিজের দফতর করা। সেখান থেকেই তিনি দফতরের অধীন বিভিন্ন অ্যাকাডেমির বৈঠক করবেন। নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর করার জন্য তিনি পুরমন্ত্রী ফিরহাদকে নির্দেশ দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রাক্কালে ইন্দিরা ভবন নিয়ে ‘টানাপোড়েনে’ শেষ পর্যন্ত ইতি পড়লে দুই জোট শরিকের কাছেই তা ‘স্বস্তিদায়ক’ হবে। আপাতত তাই জোট-শিবিরের নজর থাকছে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার দিকে।
এদিকে, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেছেন, “শুক্রবার নজরুল অ্যাকাডেমির শিলান্যাস অনুষ্ঠানে সরকার কী ঘোষণা করে, তার অপেক্ষায় রয়েছি। ”
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১২
আরডি/ সম্পাদনা : আহ্সান কবীর, আউটপুট এডিটর