কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির পুনর্বাসন প্যাকেজে সাড়া দিয়ে বুধবার জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রামে আত্মসমর্পণ করেছেন ৭ জন মাওবাদী৷
ঝাড়গ্রামে জেলা পুলিশ এবং সিআরপিএফের যৌথ উদ্যোগে সিআরপিএফের ১৮৪ নম্বর ব্যাটালিয়নের সদর দফতরে অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করেন মাওবাদীরা৷ আত্মসমর্পণকারীরা হলেন জগন্নাথ সোরেন, শশধর মাহাতো, খগপতি মাহাতো, নিরঞ্জন নাগ, সুখেন বাস্কে, ললিত মাহাতো ও বুদ্ধেশ্বর হাঁসদা৷
তাদের মধ্যে কয়েকজন যৌথবাহিনীর সঙ্গে সংর্ঘষে নিহত মাওবাদী শীর্ষ নেতা কিষেণজির ঘনিষ্ঠ ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, বিনপুরের জোনাল কমান্ডার জগন্নাথ সোরেন ওরফে হিরো কিষেণজির নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন৷ জগন্নাথ একটি ইনসাস রাইফেলসহ আত্মসমর্পণ করেন৷ বাকিদের সঙ্গে ছিল দেশি রাইফেল ও কার্তুজ৷
আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিজি নপরাজিত মুখোপাধ্যায় থেকে শুরু করে রাজ্য পুলিশ ও সিআরপিএফের শীর্ষ কর্মকর্তারা৷
অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে ফের মাওবাদীদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানান পুলিশের শীর্ষ কর্তারা ৷
প্রথমে পুলিশ জানিয়েছিল, ৯ জন আত্মসমর্পণ করবেন৷ কিন্তু করেন ৭ জন৷
পুলিশের বক্তব্য, কাউকে তো আর আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করা হচ্ছে না৷ কোনা কারণে হয়তো দু’জন আত্মসমর্পণ করেননি৷ তবে আলোচনা চলছে৷
পুলিশ আশাবাদী, রাজ্য সরকারের ঘোষিত প্যাকেজে আকৃষ্ট হয়ে আগামী দিনে আরো মাওবাদী অস্ত্র ছেড়ে মূলস্রোতে ফিরবেন।
মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরই জঙ্গলমহলে শান্তি ফেরাতে উদ্যোগী হন মমতা ব্যানার্জি৷ পুনর্বাসন প্যাকেজ ঘোষণা করে মাওবাদীদের মূল স্রোতে ফেরার বার্তা দেন তিনি৷
মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে গত বছরই আত্মসমর্পণ করেন দুর্যোধন, ললিতা রাজোয়ার, রাজারাম সোরেন ও জাগরী বাস্কে৷ চলতি বছরের মার্চে আত্মসমর্পণ করেন মাও নেত্রী সুচিত্রা মাহাতো৷ এছাড়াও আত্মসমর্পণ করেন রবি মাণ্ডি, সুবোধ হাঁসদা, রমেশ সিংহ, শিবানী লায়ারের মতো মাও স্কোয়াড সদস্যরা৷
বাংলাদেশ সময় : ২০২০ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১২
আরডি/
সম্পাদনা : অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর।