আগরতলা (ত্রিপুরা): চলতি বছরেই শুরু হতে যাচ্ছে আগরতলা-আখাউড়া রেল সংযোগের কাজ। এ খবর জানিয়েছেন ত্রিপুরার পরিবহন সচিব কিশোর আম্বুলি।
তিনি জানান, চলতি বছরের শেষ দিকে বহু প্রতীক্ষিত আগরতলা-আখাউড়া রেল সংযোগের কাজ শুরু হবে। বর্তমানে প্রকল্পটির সম্ভাব্য ব্যয় নিরুপণের কাজ চলছে।
পূর্ব-উত্তর সীমান্ত রেলওয়ের উপ মুখ্য বাস্তুকার এ ব্যয় নিরূপণের কাজ করছেন।
পরিবহন সচিব কিশোর আম্বুলি জানিয়েছেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই তিনি তার রিপোর্ট রেল মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়ে দেবেন।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে খরচ হবে ২৭২ কোটি টাকা। দু’দেশের প্রতিনিধিরা বেশ কয়েকবার সমীক্ষা করেছেন প্রকল্পটি নিয়ে। দু’দেশের মধ্যে এ বিষয়ে একটি সমঝোতাও স্বাক্ষরিত হয়েছে।
আগরতলা থেকে আখাউড়া রেলস্টেশনের দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার। এর মধ্য ভারতের দিকে হবে ৫ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশের দিক থেকে হবে ১০ কিলোমিটার। ভারতের দিকে ব্যয় ধরা হয়েছে ১০৫ কোটি টাকা। বাংলাদেশের দিকে ব্যয় হবে ১৬৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশের দিকে জমি অধিগ্রহণ বাবদ ধরা হয়েছে ২১ কোটি টাকা।
বাংলাদেশের দিকে রেললাইন নির্মাণ এবং জমি অধিগ্রহণে টাকা দেবে ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয়। প্রকল্পের শুরুতে হবে জমি চিহ্নিতকরণের কাজ।
দু’দেশের যৌথ সমীক্ষক দল আগেই এ রেলরুট চূড়ান্ত করেছিল। রেল যাবে আগরতলা রেলস্টেশন হয়ে সিদ্ধিআশ্রম, বাধারঘাট ও নিশ্চিন্তপুর হয়ে বাংলাদেশের গাঙ্গাসাগর রেলস্টেশন। সেখান থেকে যাবে আখাউড়া রেলস্টেশন। নিশ্চিন্তিপুর হবে সীমান্ত রেলস্টেশন।
বাংলাদেশের ভেতর ১০ কিলোমিটার রাস্তার এলাইনমেন্ট করবে বাংলাদেশ রেল। নিশ্চিন্তপুর থেকে গঙ্গাসাগর স্টেশন। সেখান থেকে আগের লাইনের পাশ ধরে রেল চলে যাবে আখাউড়া পর্যন্ত।
বাংলাদেশ সময় : ২০৩১ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১২
তন্ময় চক্রবর্তী
সম্পাদনা : অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর