নয়াদিল্লি : পেট্রোলের বর্ধিত মূল্য হ্রাস, নয় সমর্থন প্রত্যাহার এমনই কথা সকালে জানিয়েছিলেন ডিএমকের নেতা করুণানিধি। চূড়ান্ত সময়সীমা দিয়ে ইউপিএ সরকারকে তিনি হুমকিও দিয়েছিলেন বুধবার।
সকালে করুণানিধি বলেন, জনবিরোধী পদক্ষেপ গ্রহণ করলে তিনি ইউপিএকে-২ সমর্থন করবেন না জানিয়ে দিয়েছেন। পেট্রোলের মূল্য প্রত্যাহারের দাবিতে তামিলনাড়ু জুড়ে বিক্ষোভ চলাকালে এ কথা বলেন তিনি।
কিন্তু বিকেলেই একশ’ আশি ডিগ্রি ঘুরে করুণানিধি বলেন, তিনি এখনই সমর্থন তুলে নিচ্ছেন না। তার কথার ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। কয়েক ঘন্টার মধ্যে তিনি তার অবস্থান বদল করেন।
ইউপিএর জোট সঙ্গী তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ও সমাজবাদী পার্টি আগেই এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে মিছিলও করেছেন রাজ্যে। তবে তিনি জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে তিনি সমর্থন তুলে নেবেন না।
বর্তমান পরিস্থিতিতে পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সরকার যথেষ্ট চাপে রয়েছে। তারা পেট্রোলের দাম কিছুটা কমানোর কথাও ভাবছে বলে সূত্র থেকে জানানো হয়েছে। কারণ, বিজেপি বৃহস্পতিবার হরতালের ডাক দিয়েছে। বামেরা দেশজুড়ে প্রতিবাদ আন্দোলন করবেন জানিয়েছেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বুধবার সিপিআই নেতা গুরুদাস দাশগুপ্ত বলেন, ‘সরকারি সিদ্ধান্তে পেট্রোলের দাম বেড়েছে। তেল কোম্পানির নাম করে সরকার মানুষকে প্রতারণা করছে। জোট সঙ্গীও এর বিরুদ্ধে। আবার বিরোধীরাও। কে কম, কে বেশি বিরোধিতা করছে সে তুলনামূলক বিচারে যাব না। কোনোটাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি না। বাইরের চাপ আছে বলে ভেতর থেকেও চাপ তৈরি হচ্ছে। মানুষের মধ্যে চরম বিক্ষোভ হচ্ছে। এরপরে কেরোসিন ও ডিজেলের দাম যাতে না বাড়ে, সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। ’
কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ডিএমকে তাদের জোটসঙ্গী। তাদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টির সমাধান করা হবে।
এদিকে কংগ্রেসের নেতা ওমপ্রকাশ মিশ্র বলেন, সরকারকে টিকিয়ে রাখার দায় শুধু কংগ্রেসের নয়। তৃণমূল ও ডিএমকেরও।
বাংলাদেশ সময় : ২০১২ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১২
আরডি/ সম্পাদনা : অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর