কলকাতা : পশ্চিমবঙ্গের কলকাতাসহ দক্ষিণের শুরু হয়েছে তীব্র দাবদাহ। প্রচণ্ড গরম সহ্য করতে না পেরে দক্ষিণবঙ্গে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আসানসোলে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। দুর্গাপুরে মারা গেছেন ৩ জন। কলকাতায় মারা গেছেন একজন ও মালদায় একজন। মৃতদের মধ্যে একজন ভোটকর্মী এবং একজন পুলিসকর্মী রয়েছেন। কলকাতার তাপমাত্রা ইতিমধ্যেই ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে।
তবে তাপমাত্রা বাড়লেও আপেক্ষিক আর্দ্রতা কিছুটা কমবে বলে জানিয়েছে আবহওয়া দফতর।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে ঢুকতে শুরু করেছে শুকনো গরম হাওয়া। তার জেরেই বাড়ছে তাপমাত্রা।
পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে বলে মনে করছে আবহাওয়া দফতর।
সোমবার দুপুরে পুরুলিয়ার তাপমাত্রা ছিল ৪৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বীরভূমের তাপমাত্রা ৪৬ ডিগ্রি।
প্রচণ্ড গরমে বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তে দেখা দিয়েছে তীব্র জল সংকট। তার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লোডশেডিংয়ের দাপট।
গরম আর তীব্র দাবদাহে জ্বলছে উত্তর ভারতের রাজ্যগুলোও।
এদিকে রোববার রাতভর ভারী বৃষ্টির জেরে জলপাইগুড়ি এবং কুচবিহারে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছেন সাধারণ মানুষ। রাতে আলিপুরদুয়ারেও ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েছে উত্তরবঙ্গের অন্য জেলাগুলোতেও।
অন্যদিকে কিছুটা হলেও স্বস্তির খবর শুনিয়েছে দিল্লির মৌসম ভবন। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেরালা উপকূলে বর্ষা আসতে চলেছে দিল্লির মৌসম ভবনের পক্ষ থেকে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, কেরালার দক্ষিণ উপকূলে বর্ষা পৌঁছনোর উপযুক্ত আবহাওয়া তৈরি হয়েছে। কেরালায় বর্ষা আসার নির্ধারিত দিন ১ জুন। কেরালার হাত ধরেই ভারতে প্রথম বর্ষা আসে। কিন্তু আরব সাগরের ওপর ঘূর্ণাবর্তের কারণে এবার কেরালাতেও বর্ষা আসতে দেরি হয়।
আবহাওয়াবিদদের অনুমান, ৬ থেকে ৭ জুনের মধ্যে কেরালার দক্ষিণ উপকূলে বর্ষা এসে পড়বে।
বাংলাদেশ সময় : ২১০০ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১২
আরডি/ সম্পাদনা : অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর