আগরতলা (ত্রিপুরা) : নলছড়ের উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হতেই রাজ্য কংগ্রেসে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে গেছে। এক গোষ্ঠী অপর গোষ্ঠীর ওপর ক্রমাগত অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ চাপাচ্ছে।
শুক্রবার বের হয়েছিল নলছড় উপনির্বাচনের ফলাফল। এতে কংগ্রেস প্রার্থী দ্বিজেন্দ্র লাল মজুমদার প্রায় ৪ হাজার ৯০০ ভোটে পরাজিত হন সিপিএম প্রার্থী তপন দাসের কাছে। এই আসনটি গতবার সিপিএম জিতেছিল ২ হাজার ৫৩২ ভোটে। সে হিসাবে এবার ব্যবধান প্রায় দ্বিগুন হয়েছে।
এবার এই আসনটি কংগ্রেস জিতবেই বলে ধরে নিয়েছিল। কিন্তু এর পরিবর্তে পরাজয়ের ব্যবধান বেড়েছে গতবারের চাইতে অনেক বেশি।
কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি এবং বর্তমান বিধায়ক বীরজিত সিনহা সাংবাদিকদের বলেছেন, সুদীপ বর্মণের নেতৃত্বে ত্রিপুরায় কংগ্রেস কোনদিন খমতায় আসতে পারবেনা । সুদীপ এবং তার বাবা সমীর বর্মণ একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ।
উল্লেখ্য, সমীর বর্মণ ছিলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। তার নেতৃত্বেই ২০০৮ সালে কংগ্রেস ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপকভাবে হেরে যায়।
এবার আবার আরেকটি বিধানসভা নির্বাচনের আগে দিল্লির কংগ্রেস হাইকমান্ড ত্রিপুরায় দলের দায়িত্ব তুলে দিয়ে সভাপতি করেছেন সমীর পুত্র সুদীপ বর্মণকে। তিনি সভাপতি হবার পর তার প্রথম পরীক্ষা ছিল নলছড়ের উপনির্বাচন। তাতে তিনি ডাহা ফেল।
কংগ্রেসের আরেক নেতা সুরজিত দত্তও তোপ দেগেছেন বর্তমান সভাপতি সুদীপ বর্মণের বিরুদ্ধে। সুরজিত দত্তকে সরিয়ে রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি হয়েছিলেন সুদীপ। সুরজিত দত্ত সাংবাদিকদের বলেছেন, সুদীপ বর্মণ রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি হওয়াতে খুশি সিপিএম। কারণ তারা জানে তার নেতৃত্বে ২০১৩ সালে বিধানসভা নির্বাচনে জিতবে না কংগ্রেস।
রাজ্যের বিভিন্ন কংগ্রেস নেতার এ ধরনের দল বিরোধী বক্তব্যে এখন পর্যন্ত কোন জবাব দেননি সুদীপ বর্মণ। কিন্তু রাজ্য কংগ্রেসে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব যে আবার মাথা চাড়া দিতে শুরু করেছে সেটা প্রায় নিশ্চিত।
বাংলাদেশ সময় : ১৪০৭ ঘন্টা, জুন ১৭, ২০১২
তন্ময়/সম্পাদনা : সুকুমার সরকার, কো-অর্ডিনেশন এডিটর
kumar.sarkerbd@gmail.com