নয়াদিল্লি: ভারতের রাষ্ট্রপতি পদে ইউপিএ`র প্রার্থী প্রণব মুখার্জিকেই সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিএম। সর্মথন চেয়ে কয়েকদিন আগে প্রকাশ কারাট, বিমান বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও মানিক সরকারকে ফোন করেন প্রণব মুখার্জি।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে আলোচনার জন্য বৃহস্পতিবার দিল্লিতে সিপিএম পলিটব্যুরোর বৈঠকে বসে। এই বৈঠকেই প্রণবকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সিপিএম। বিকেলে ৪ বামদলের বৈঠকেও প্রণবকে সমর্থনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে।
পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলকে কোণঠাসা করতেই পুরনো বন্ধু কংগ্রেসকে সমর্থনের জন্য সিপিএমের এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল ৷
সিপিএম সূত্রে জানা গেছে, প্রণব মুখার্জিকে সমর্থন করা নিয়ে কার্যত দু’ভাগে বিভক্ত ছিল সিপিএম পলিটব্যুরো। বাংলা বনাম কেরল৷ প্রণবকে সমর্থনের পক্ষে ছিল না কারাট-ঘনিষ্ঠ কেরল ব্রিগেড৷
অন্যদিকে, বেঙ্গল ব্রিগেড জোর দিয়ে এসেছে প্রণবকে সমর্থন করার পক্ষে ৷ এদিন বেঙ্গল বিগ্রেডকে এই ইস্যুতে সমর্থন করে অন্ধ্রপ্রদেশ ও ত্রিপুরা।
এরপরই দেখা যায় পলিটব্যুরো ৮জন প্রণবের পক্ষে বাকি ৭ জন বিপক্ষে। বিমান বসু, মানিক সরকাররা প্রণবের বিষয়ে জোর দিয়ে কথা বলেন।
শেষ পর্যন্ত বর্তমান রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে বিচার করে পলিটব্যুরোর বৈঠকে ঐক্যমতে পৌঁছায় সিপিএম ৷
প্রণবকে সমর্থন না করলে সিপিএমকে সমালোচনার মুখে পড়তে হতো বলেও মনে করছে দিল্লির রাজনৈতিক মহল৷ ১৯৯৬ সালে জ্যোতি বসুর ব্যাপারে ঐতিহাসিক ভুল করেছিলেন প্রকাশ কারাটরা। তাই প্রধানমন্ত্রী পায়নি বাঙালি।
এদিন পলিটব্যুরোর বৈঠকে ঐক্যবদ্ধ বেঙ্গল ব্রিগেড দলের কেরল লবির আপত্তি উড়িয়ে বাঙালি প্রণবকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নেয়।
অন্যদিকে, এদিনই বিকেল ৪ টায় দিল্লিতে বৈঠকে বসবে ৪ বামদল৷ বামদলগুলির মধ্যে আরএসপি ও সিপিআই প্রণব মুখার্জিকে সমর্থনের পক্ষপাতী নয়। বৈঠকের আগেই সিপিএম প্রণবকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত
নিল৷ যা নিঃসন্দেহে বৈঠকে প্রভাব ফেলবে। তারপরও বাম দলগুলো কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল৷
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪১ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১২
আরডি/সম্পাদনা: বেনু সূত্রধর, নিউজরুম এডিটর