কলকাতা: হরিয়ানার ছোট্ট শিশু মাহির মর্মান্তিক মৃত্যুর রেশ কাটতে না কাটতেই ফের একই রকম দুর্ঘটনা ঘটল পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ায়। রোববার বিকালে লিলুয়ার একসরায় গভীর কুয়োয় পড়ে যায় ষোলো বছর বয়সী কিশোর রোশন পানেরি।
দীর্ঘ ১০ ঘণ্টা পরও তার লাশ উদ্ধার করা যায়নি। ঘটনাস্থলে উদ্ধারকার্য চালাচ্ছেন দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। উপস্থিত রয়েছেন মেট্রো রেলের ইঞ্জিনিয়াররাও।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে উদ্ধারকার্য তদারকি করছেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী জাভেদ খান। তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি। ক্যামেরা আনা হচ্ছে, এটি আসলে দেখা যাবে ভিতরে বর্তমান অবস্থা কী, এছাড়া সেনাবাহিনীকেও তৈরী রাখা হয়েছে। ’
পাতকুয়ার বের নরম হওয়ায় তা বারবারই ধ্বসে পড়ছে। তাই ডুবুরি নামানো হলেও ডুবুরিকে তুলে নিতে হয়। কিশোরের লাশ দেখতে পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন এক ডুবুরি।
বর্তমানে কুয়োর পাশে একটি গর্ত খুঁড়ে কিশোরের কাছে পৌঁছনোর চিন্তা করা হচ্ছে। এ জন্য মেট্রো রেলের উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ড্রিলিং মেশিন নিয়ে আসা হতে পারে। তবে এর মধ্যেই পাম্প করে কুয়োর পানি তোলারও চেষ্টা চলছে। জলা এলাকা হওয়ায় আশপাশের থেকে পানি কুয়োতে ঢুকে পড়ছে।
এদিকে রাজ্য প্রশাসনের তরফে বিএসএফকে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে মধ্যমগ্রামের বাদু থেকে বিএসএফের দল আসতে পারে ঘটনাস্থলে। হাওড়ার ক্যারি রোডের সিভিল ডিফেন্স দফতর থেকে আনা হচ্ছে সার্চ ক্যামেরা।
২০০৬ সাল থেকে গত ৬ বছরে অন্তত ৪ বার এই রকম ঘটনা ঘটেছে। খেলা করতে করতে পা পিছলে গভীর গর্তে পড়ে গেছে শিশুগুলি। কখনও তাদের জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। কখনও গহ্বরের অন্ধকারেই মারা গেছে শিশুরা।
কিন্তু তা সত্ত্বেও বন্ধ হয়নি বেআইনি ভাবে গর্ত খুঁড়ে রাখা। বেআইনি ভাবে খুঁড়ে রাখা নলকূপের গর্তের মধ্যেই পড়ে যায় মাহি। ইতিমধ্যেই মাহির ঘটনা নিয়ে হরিয়ানা সরকারের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন বা এনসিপিসিআর।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৪১ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১২
আরডি/সম্পাদনা:রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর