আগরতলা (ত্রিপুরা) : আগরতলা শহরে ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্র করেছিল সন্ত্রাসবাদীরা। গোয়েন্দা এবং পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে ধৃত জঙ্গি ধনু কলই।
ধনু কলইয়ের এমন বক্তব্যে অবাক গোয়েন্দারাও। তার তথ্য এবং বিবৃতি পুলিশ জমা দিয়েছে আদালতে।
সে জানিয়েছে, এ বছর দুর্গা পুজার আগে বা পুজোর সময় আগরতলা শহরে ধারাবাহিকভাবে বোমা বিস্ফোরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল জঙ্গি শিবিরে। সে অনুযায়ী চলছিল কাজকর্ম। তার জন্য বিস্ফোরকও সংগ্রহ করা হয়েছে। সে বিস্ফোরক আগরতলা শহরের কৃষ্ণনগর বা অভয়নগর এলাকায় কোনো একটি ভাড়া বাড়িতে মজুত করার কথা ছিল।
২০০৮ সালে দুর্গা পুজার আগে আগরতলা শহরে ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল সন্ত্রাসবাদীরা। সে ঘটনায় যুক্ত ছিল এ টি টি এফ জঙ্গিরা। ধনু কলই পুলিশের জেরায় জানিয়েছে ঠিক ২০০৮ সালের কায়দায় এবারও বিস্ফোরণ ঘটানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২৫ লাখ টাকাসহ গত কিছু দিন আগে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছিল। তার সাথে রথশ্রী কলই এবং বিশু কলই নামে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। এই টাকা নিয়ে তিন জন যাচ্ছিল জঙ্গি ডেরায়। তিন জনই আত্মসমর্পণকারী সন্ত্রাসবাদী।
বর্তমানে ধৃত এই তিন আত্মসমর্পণকারী সন্ত্রাসবাদীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সি আই ডি। গোটা ঘটনার তদন্ত ভার সি আই ডি’র হাতে তুলে দিয়েছে রাজ্য সরকার।
তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন, জিজ্ঞাসাবাদে তারা এমন সব তথ্য জানিয়েছেন যা গোয়েন্দাদের কাছে এক দম নতুন। তারা জানিয়েছে, বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী দলের নেতারা এখন আশ্রয় নিয়েছে মিয়ানমারে।
তাছাড়া আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি কার্যকলাপ চালানোর কথাও স্বীকার করেছে ধনু কলই এমনই দাবি পুলিশের।
পুলিশ জানিয়েছে, রাজ্যের মিশ্র জনবসতি এলাকায় গণহত্যা সংগঠিত করার ষড়যন্ত্র করছে ত্রিপুরার জঙ্গি সংগঠনগুলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, ২৫ জুন, ২০১২।
তন্ময়/সম্পাদনা: বেনু সূত্রধর, নিউজরুম এডিটর