আগরতলা (ত্রিপুরা): আসামে বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। গত এক দশকের নধ্যে ভয়াবহতম বন্যার মুখোমুখি উত্তর পূর্বাঞ্চলের এ রাজ্য।
বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে ব্রহ্মপুত্রসহ রাজ্যের বেশিরভাগ নদীর জল। এরই মধ্যে আরো বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। বিভিন্ন নদীতে হঠাৎ জলস্ফীতির কারণে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
প্রচণ্ড বৃষ্টি ও ধসের জেরে বন্যা কবলিত রাজ্যের ২৩টি জেলা। এসব জেলার দুই হাজারেরও বেশি গ্রাম এখন বন্যা কবলিত। চল্লিশ হাজার হেক্টর জমির ফসল পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। তবে প্রাণহানির সঠিক পরিসংখ্যান এখনও মেলেনি।
শনিবার দুপুর থেকে শুকনো খাবার, ত্রিপল, তাঁবু, ওষুধ নিয়ে উদ্ধার কাজে নেমেছে ভারতীয় বিমানবাহিনীর বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টার এবং সেনাবাহিনীর জওয়ানরা। উদ্ধারের কাজে হাত লাগিয়েছে অসম রাইফেলসও। বন্যা কবলিত অঞ্চলগুলোতে অস্থায়ী ভিত্তিতে ১৭৩টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে।
রাজ্য প্রশাসন জানিয়েছে, অন্তত ৫০ লাখ মানুষ বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছেন। সেনাবাহিনী, দমকল, পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবীদের নামিয়েও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছে না।
আসামের বন্যা পরিস্থিতিতে সমস্যায় পড়েছে ত্রিপুরাও। কারণ, দেশের অন্য প্রান্তের সঙ্গে ত্রিপুরার যোগাযোগের অন্যতম প্রধান উপায় আসাম। ধস এবং বন্যার কারণে রেল এবং সড়ক পথ বন্ধ হয়ে আছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০১২
তন্ময় চক্রবর্তী/ সম্পাদনা: অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর