কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণা জেলার টিটাগড় থেকে ৫ জন পাকিস্তানি নাগরিককে সোমবার আটক করেছে হুগলির শ্রীরামপুর থানা পুলিস। প্রায় এক বছর ধরে রাজ্যে অবস্থান করছিলেন বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানায়, ব্যারাকপুর পৌরসভার ১৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের কাছ থেকে ৫০ হাজার রুপি ঘুষের বিনিময়ে তারা নাগরিকত্বের সনদ পান বলে অভিযোগ রয়েছে। সনদ দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন কাউন্সিলরের স্বামী। অভিযোগ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিস সূত্রে জানা গেছে, পাঞ্জাবের আটারি সীমান্ত দিয়ে ২০১১ সালের ১৪ এপ্রিল ভারতে প্রবেশ করেন পাঁচ পাকিস্তানি নাগরিক; ৬৩ বছরের নবাব খান, তার স্ত্রী শাজয়ান বেগম এবং তাদের তিন সন্তান আমির খান, ইশরাত খান ও আজরা খান। এদের বাড়ি করাচির রহিম শাহ কলোনিতে।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে জানা গেছে, প্রথমে তারা হুগলির রিষড়ায় আরকে রোডে এক পরিচিতের বাড়িতে থাকতেন। পরে চলে যান উত্তর ২৪ পরগণার টিটাগড়ে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে টিটাগড় থেকে রোববার তাদের আটক করা হয়।
আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, কাউন্সিলরকে ঘুষ দিয়ে নাগরিকত্বের সনদ নেন তারা। এর ভিত্তিতে তৈরি করেন ভারত সরকারের আয়কর দফতরের প্যান কার্ড। স্থানীয় ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্টও খুলেছেন।
ঘুষের কথা অস্বীকার করলেও সনদ দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত কাউন্সিলর আমরিন তৈয়ফের স্বামী নৌসাদ আলম।
এদিকে, পাঁচ পাকিস্তানি নাগরিক গ্রেফতারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে টিটাগড়ে। টিটাগড়ে রাজিয়া সুলতানার বাড়িতে ভাড়া থাকত নবাব খানের পরিবার। ধৃতদের আসল পরিচয় জানার পর আতঙ্কিত বাড়িওয়ালার পরিবারও।
এদিনই নবাব খান ও তার ছেলে আমির খানের ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ব্যারাকপুর আদালত। পরিবারের নারী সদস্যদের পাঠানো হয়েছে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে। আটকদের জঙ্গি সংযোগ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০১২
আরডি/সম্পাদনা: জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর