আগরতলা (ত্রিপুরা) : ত্রিপুরার পালাটানা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে চলতি মাসেই শুরু হচ্ছে প্রথম ইউনিটের পরীক্ষামুলক উৎপাদন। আর ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হবে।
টিপিসি’র চিফ ম্যানেজিং ডাইরেক্টর এস কে দুবে এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, প্রথম ইউনিটের পরীক্ষামুলক উৎদনের কাজ প্রায় শেষ। পালাটানা বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম টারবাইন ঘোরা এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
এদিকে সোমবার প্রথম প্রকল্পের গ্যাস লাইনের গ্যাস ছাড়া হয়। গোটা প্রকল্পটি হচ্ছে গ্যস ভিত্তিক। গ্যাস উৎপাদক সংস্থা ও এন জি সি সম্পূর্ণ গ্যাস সরবরাহ করবে এ বিদ্যুৎ প্রকল্পে। প্রকল্পের জন্য যে গ্যাস লাইন বসানো হয়েছে তাতে সোমবার গ্যাস ভরা হয়। লাইনের মাধ্যমেই উৎস থেকে গ্যাস পৌঁছে যাবে বিদ্যুৎ প্রকল্পের জায়গায়।
৭২৬ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এই তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল ২০০৮ সালে। প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হয় ২০০৫ সালে। পালাটানার ২০০ একর জমিতে এখন শুধু মানুষ আর মেশিনের ব্যস্ততা। সময়ের প্রতীক্ষা।
শুধু ত্রিপুরার মানুষ নন। বাংলাদেশের মানুষও তাকিয়ে আছেন ত্রিপুরার এই বিদ্যুৎ প্রকল্পের দিকে। ৭২৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ তৈরি হবে এখান থেকে। উৎপাদিত বিদ্যুতের বড় অংশই যাবে বাইরে। বাংলাদেশেও এ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার কথা চলছে। তাছাড়া এ প্রকল্প নির্মাণের জন্য বেশিরভাগ ভারী যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে। ওই দেশের সরকার আন্তরিকভাবে প্রকল্প নির্মাণের জন্য হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল।
প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশ সরকারের বিরাট অবদান রয়েছে। কারণ সমস্ত ভারী যন্ত্রপাতি এসেছে বাংলাদেশ দিয়ে। এ প্রকল্প থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশকে বিক্রি করার ব্যাপারে কথা বার্তা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০১২
সম্পাদনা: জাকারিয়া মন্ডল, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর