কলকাতা: শান্তিনিকতনের ছাত্রীনিবাসে ১০ বছরের এক শিক্ষার্থীকে তার নিজের প্রস্রাব চেটে খাওয়ানোর অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে ওই ছাত্রীনিবাসের প্রধান (ওয়ার্ডন) উমা পোদ্দারকে।
এ ঘটনায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করলেও ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই তিনি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
উল্লেখ্য, বিশ্বভারতীর অধীনে থাকা পাঠভবনের ‘করবী’ ছাত্রীনিবাসের পঞ্চম শ্রেণীর আবাসিক এক ছাত্রী শনিবার রাতে বিছানা ‘ভিজিয়ে’ ফেলে। সেই ‘অপরাধে’ তার নিজেরই প্রস্রাব চাটানোর গুরুতর অভিযোগ ওঠে উমা পোদ্দারের বিরুদ্ধে।
সোমবার বিষয়টি জানাজানি হলে দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এমনকি তা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে গিয়ে পৌঁছে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্ত সাংবাদিকদের জানান অভিযুক্ত হোস্টেল ওয়ার্ডেন উমা পোদ্দারকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা গেছে, উমার পোদ্দারের জামিন পাওয়ার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অভিযুক্ত ওয়ার্ডেনের বিরুদ্ধে কেন লঘু ধারায় মামলা করা হয়েছে, সরকারি আইনজীবীর কাছে তা এ দিন কার্যত ‘ভর্ৎসনা’র সুরে জানতে চান বোলপুরের এসিজেএম পীযূষ ঘোষ।
অভিযোগের পরেই কর্তৃপক্ষ চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়েছেন। এ দিন বিশ্বভারতীর সব ভবনের অধ্যক্ষ, কর্মসচিব, কর্মিসভা, অধ্যাপকসভা ও অন্য আধিকারিকদের নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্ত। তিনি দাবি করেন, “কমিটি প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ পেয়েছে, উমাদেবী চাদরে লাগা প্রস্রাবের সঙ্গে নুন মাখিয়ে ওই ছাত্রীকে চাটার নির্দেশ দেন। তবে ওই ছাত্রী তা করেনি। তাকে ভয় দেখাতেই এমন করতে বলা হয়েছিল বলে কমিটি জেনেছে। ”
ওই ছাত্রী অবশ্য এ দিনও বলেছে, “আমাকে ওয়ার্ডেন ওই বিছানা চাটতে বাধ্য করেছিলেন। ” কিন্তু বিছানা ভেজানোর প্রবণতা ঠেকাতে এ ভাবে ভয় দেখানো কি ঠিক? উপাচার্যের মন্তব্য, “এই ঘটনা কোনও অবস্থাতেই কাম্য নয়। কর্মসচিবের নির্দেশে উমা পোদ্দারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ”
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১২
সম্পাদনা: অাহমেদ জুয়েল, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর