আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরার কৃষকদের সুবিধার কথা চিন্তা করে তাদের কাছ থেকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে চলতি খারিফ মরসুমে উৎপাদিত ধান ক্রয় কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) রাজ্যের পশ্চিম জেলার জিরানীয়া মহাকুমার কৃষকদের সুবিধার্থে ধান ক্রয় কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন খাদ্য জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
ত্রিপুরার জিরানীয়া এলাকার মাধববাড়িতে আন্তঃ রাজ্য ট্রাক টার্মিনালে এ ধান ক্রয় কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন খাদ্য ও জনসংভরণ দপ্তরের বিশেষ সচিব রাভাল হেমেন্দ্র কুমার, অধিকর্তা নির্মল অধিকারী, কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা শরদিন্দু দাস, জিরানীয়া নগর পঞ্চায়েতের চেয়ারপারসন রতন দাস, বিশিষ্ট সমাজসেবী গৌরাঙ্গ ভৌমিক, রানীরবাজার পুর পরিষদের ভাইস-চেয়ারপারসন প্রবীর কুমার দাস, জিরানীয়া পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস-চেয়ারম্যান প্রীতম দেবনাথ, জিরানীয়া মহাকুমার কৃষি তত্ত্বাবধায়ক সোমেন কুমার দাস, জিরানীয়া মহাকুমার অতিরিক্ত মহাকুমা শাসক সুশান্ত দেববর্মা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, ২০১৮ সালে বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর কৃষকদের আয় কীভাবে দ্বিগুণ করা যায় তার জন্য রাজ্য সরকার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ২৫ বছর কৃষকদের সঙ্গে প্রতারণা করে গেছে অতীতের সরকার। রাজ্য সরকার প্রতিটি কৃষি মহকুমায় আধুনিক কৃষি পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ করছে। যাতে কৃষকরা তাদের রোজগার বাড়াতে পারেন। কৃষকদের আধুনিক যন্ত্রপাতি থেকে শুরু করে সার-বীজ দেওয়া হচ্ছে। কৃষকদের সঠিক পরামর্শ দেওয়ার জন্য প্রতিটি কৃষি মহকুমায় কৃষক বন্ধু কেন্দ্র ও কৃষক জ্ঞান অর্জন কেন্দ্র খুলে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি কৃষকরা যাতে তাদের উৎপাদিত ফসলের সঠিক মূল্য পায় তার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। সরকার ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে কৃষক বন্ধুদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করছে।
ত্রিপুরা সরকারের খাদ্য জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক দপ্তর এবং কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে ধান ক্রয় করা হচ্ছে। প্রথম দিনেই ধান বিক্রি করতে এ বিক্রয় কেন্দ্রে স্থানীয় কৃষকরা জড়ো হয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০২৪
এসসিএন/আরআইএস