ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ভারতের মাটিতে শায়িত মুক্তিযোদ্ধাদের দেহাবশেষ ফেরত দেবে দিল্লি

নয়াদিল্লি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২০ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১২
ভারতের মাটিতে শায়িত মুক্তিযোদ্ধাদের দেহাবশেষ ফেরত দেবে দিল্লি

নয়াদিল্লি: ভারতের মাটিতে শায়িত বাংলার বীর সন্তানদের দেহ যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি।

বাংলাদেশ সরকারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশংকর মেননের পরিচালনায় একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে সম্প্রতি এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে।



সূত্রটি জানাচ্ছে, বাংলাদেশের সঙ্গে আসন্ন পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের প্রস্তুতির জন্য জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা একটি বৈঠক ডাকেন। তখনই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। বৈঠকে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ সারণ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রকের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধিগুলো চিহ্নিত করার জন্য দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশন গত ৬ এপ্রিল সাউথ ব্লকে একটি `নোট` পাঠায়।

এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের একটি প্রতিনিধি দল সীমান্তবর্তী অঞ্চল সরজমিনে পরিদর্শন করে সমাধিগুলো চিহ্নিত করতে চায়।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের অনুমতি পেয়ে, বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিবের নেতৃত্ব একটি প্রতিনিধি দল গত ১ জুন থেকে ১৭ জুন দিল্লি হয়ে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম,ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের সীমান্ত এলাকায় গিয়ে সমাধিগুলো চিহ্নিত করেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রক এ বিষয়ে পরিদর্শনকারি দলটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং দিল্লির রেসিডেন্ট কমিশনাদের সঙ্গে বৈঠকের ব্যবস্থা করে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রকের সূত্রটি আরও জানিয়েছে, ওই প্রতিনিধি দল বেশ কয়েকটি সমাধি চিহ্নিত করতে পেরেছে। সেইসব সমাধি থেকে দেহাবশেষ উদ্ধার করে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হবে, যেসব দেহাবশেষ উদ্ধার করা সম্ভব নয়, সেই সব দেহাবশেষের অবশিষ্ট একত্রিত করে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্য্যাদায় শহিদ স্মারক স্থাপন করা যেতে পারে।

ভারত সরকারের এই সহযোগিতার জন্য শেখ হাসিনা সরকার দিল্লিকে ধন্যবাদ জানিয়ে ইতোমধ্যেই চিঠি দিয়েছে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ভারত সরকার বীর শ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের মরদেহ বাংলাদেশে পাঠায়। তার মরদেহ মুক্তিযুদ্ধের সময় ত্রিপুরা রাজ্যের হাতিমেরছড়া গ্রামে স্থানীয় এক পরিবারের পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়। ২০০৭ সালের ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ রাইফেলস-এর একটি দল ত্রিপুরা সীমান্তে হামিদুর রহমানের দেহাবশেষ গ্রহণ করে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১২
আরডি/সম্পাদনা: আহ্সান কবীর, আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।