ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

হুগলির হোমে মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে ধর্ষণ করে খুন

কলকাতা ব্যুরো | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৩ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১২

কলকাতা: মানসিক প্রতিবন্ধী এক নারীকে ধর্ষণ করে খুন এবং সেই লাশ হোমের মধ্যেই পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। হুগলির ধনেখালির খাজুরদহ গ্রামের দুলাল স্মৃতি সংসদ হোমে এই ঘটনা ঘটেছে।



স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাঁকুড়া জেলার গোবিন্দনগর থেকে গত মে মাসে গুড়িয়া নামে ওই মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীকে উদ্ধার করা হয়। তারপর থেকে দুলাল স্মৃতি সংসদ হোমেই থাকতেন তিনি।

অভিযোগ, শ্যামল নামের এক ব্যক্তি হোমের বাসিন্দা গুড়িয়া নামের ওই নারীকে প্রথমে মারধর ও পরে তাকে ধর্ষণ করেন। শ্যামল হোমে খাবার দিতে আসতেন বলে জানা গেছে। মারধরের পর গুড়িয়ার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ।

এরপর পুলিশকে না জানিয়েই গুড়িয়ার লাশ হোমের ভেতরে পুঁতে দেওয়া হয়। ঘটনার জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন হোমের বাসিন্দারা।

হোমের বাসিন্দাদের একাংশ জানিয়েছেন, ঘরের ভেতর থেকে উদ্ধার হয়েছিল গুড়িয়ার ক্ষতবিক্ষত লাশ। ২৬ জুন সন্ধ্যায় দুলাল স্মৃতি সংসদ হোমে তার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। যদিও হোম কর্তৃপক্ষের দাবি, গত ১ জুলাই হোমেরই একটি ঘর থেকে গুড়িয়ার দেহ উদ্ধার করেন তারা। হোমের সেক্রেটারি নিজেই গুড়িয়ার ডেথ সার্টিফিকেট লিখে দেন।

ধনেখালির দুলাল স্মৃতি সংসদ হোমের সভাপতি উদয় চাঁদ কুমারের দাবি, খাট থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে গুড়িয়ার। প্রথমে তিনি জানান, অন্য এক চিকিৎসক গুড়িয়ার ডেথ সার্টিফিকেট লিখেছিলেন। পরে হোমটির সভাপতি বক্তব্য বদলে জানান, তিনিই ডেথ সার্টিফিকেট লিখেছিলেন।

হোমের আরেক কর্মকর্তা আবার দাবি করেন, দামোদর নদের ধারে গুড়িয়াকে দাহ করা করা হয়েছে। সবশেষে চাপের মুখে পড়ে হোম কর্তৃপক্ষ স্বীকার করে নেয় গুড়িয়াকে পুঁতে ফেলার কথা।

এর পরই পুলিশের উপস্থিতিতে হোম চত্ত্বরের মাটি খুঁড়ে শুরু হয় গুড়িয়ার দেহের সন্ধান। রহস্যময় এ ঘটনাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১২
আরডি/ সম্পাদনা: অশোকেশ রায়,  অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।