শিলিগুড়ি: চাপের মুখে সিপিএম সব প্রার্থী প্রত্যাহার করায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিটিএ দখলে পথে জনমুক্তি মোর্চা।
দাজিলিংয়ের জিটিএ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন ছিল বৃহস্পতিবার।
এদিন বাকি মনোনয়ন প্রত্যাহার পর্ব করে নিল সিপিএম।
জিটিএ নির্বাচনে সিপিএমের মোট ১৩ জন প্রার্থী ছিলেন। সিপিআই নেতৃত্বের অভিযোগ, প্রশাসন পাহাড়ে প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিতে পারছে না। মোর্চার তরফে লাগাতার চাপ হুমকি আসছে। সেই কারণেই প্রার্থীরা তাদের পদ প্রত্যাহার করেতে চাইছেন।
গত শনিবার কার্শিয়াংয়ে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে প্রহৃত হন সিপিএম নেতা সুরজ পাঠক। আটকানো হয় তৃণমূল প্রার্থীদেরও।
এদিকে তৃণমূল প্রার্থী রাজেন মুখিয়ার মনোনয়ন বাতিলের দাবি তুলে কার্শিয়াংয়ে মহকুমা শাসকের দফতর ঘেরাও করে রেখেছেন মোর্চার কর্মীরা। তাদের বক্তব্য, বিকেল ৩টার পর মনোনয়ন জমা দেন রাজেন মুখিয়া।
কার্শিয়াংয়ের পাঙ্খাবাড়ি রোডেও তৃণমূল প্রার্থীদের আটকানো হয় বলে অভিযোগ। ৪ জন তৃণমূল প্রার্থীর মধ্যে শনিবার একজনই মনোনয়ন জমা দিতে পেরেছেন। এক্ষেত্রেও বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিরুদ্ধে।
পাহাড়ে নির্বাচন করার পরিস্থিতি নেই বলে আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমকে চিঠি দিয়েছিল কংগ্রেস। এবার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন প্রদেশ সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য।
অখিল ভারতীয় গোর্খা লিগের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, জিটিএ নির্বাচনে মহিলা সংরক্ষণ এবং তফশিলি জাতি ও উপজাতি সংরক্ষণের বিধি মানা হচ্ছে না। তার ওপর বর্ষাকালে নির্বাচন হওয়ায়, পাহাড়ের অনেক নাগরিকই এতে অংশ নিতে পারবেন না বলে অভিযোগ গোর্খা লিগের।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১২
আরডি/সম্পাদনা: আহমেদ জুয়েল, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর