নয়াদিল্লি: ভারত বেশ কিছু দিন ধরে আর্থিক মন্দার শিকার। দেশটির মোট জাতীয় উৎপাদন কমে গেছে, মার্কিন ডলারের থেকে রুপির দাম পড়ছে, কিন্তু এত কিছুর মধ্যে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সম্পদ বৃদ্ধির পরিমাণ দেখলে মনেই হবে না, দেশে অর্থনীতির কী হাল।
অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস(এডিআর) নামে এক এনজিও রাজনৈতিক দলগুলোর সম্পদের পরিমাণ জানার জন্য কেন্দ্রী প্রত্যক্ষ কর বোর্ডে চিঠি লিখেছিল। প্রথমে জানাতে না চাইলেও অনেক কাঠখড় পোড়ানোর পর সম্পদের পরিমান জানিয়েছে তারা। আর তার ফলেই ওঠে এসেছে চ্যাঞ্চল্যকর তথ্য।
গত ৫ বছরে ক্ষমতাসীন ইউপিএ`র অন্যতম কংগ্রেসের মোট সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ১ হাজার ৬শ’ ৬২ কোটি রুপি। দেশটির প্রধান বিরোধি দল বিজেপি এক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থানে। ৫ বছরের তার সম্পদ বেড়েছে ৮শ’ ৫২ কোটি রুপি। সদ্য উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হওয়া মায়াবতির দল বহুজন সমাজ পার্টির বেড়েছে ৪ শ’ ৫২ কোটি রুপি।
এরপরেই ভারতের রাজনীতি প্রবল ধাক্কা খাওয়া, কেরল ও পশ্চিমবঙ্গে পরাজিত বামদল সিপিএম রয়েছে চতুর্থ স্থানে। তাদের সম্পদ বৃদ্ধির পরিমাণ ৩ শ’ ৩৫ কোটি রুপি। এরপরই রয়েছে মুলায়ম সিং এর দল সমাজবাদী পার্টি ২০০ কোটি রুপি। আর পঞ্চম স্থানে রয়েছে ইউপিএ জোটের শরিক শরদ পাওয়ারের দল এনসিপি। তার সম্পদ বেড়েছে ১ শ’ ৪০ কোটি।
তবে রাজনৈতিক দলগুলোর উপরেও আর্থিক মন্দার প্রভাব পড়েছে। তারা আগে অনুদান বা সদস্য বাবদ যে চাঁদা সংগ্রহ করতো, এখন আর তত টাকা তারা সংগ্রহ করেত পারছে না।
এডিআরের কর্মকর্তা অনিল বায়েরওয়াল বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো অজ্ঞাত পরিচয় দাতাদের কাছ থেকে কোটি কোটি রুপি অনুদান সংগ্রহ করে। তাদের মোট সম্পদের ৯০ শতাংশই অনুদান থেকে আসে।
তিনি দাবি করেছেন, এই অনুদানের সবটাই কালো টাকা। এই কালো টাকার প্রবাহ বন্ধ করতে অনুদান নিয়ে তদন্ত করতে হবে।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “প্রত্যক্ষ কর বোর্ড এনিয়ে তদন্ত করার আশ্বাস দিলেও, এখনও তদন্ত শুরু হয়নি। ”
বাংলাদেশ সময়: ০৭১১ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১২
আরডি/ সম্পাদনা: জাকারিয়া মন্ডল, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর