শিলিগুড়ি: নিজভূমে পরবাসী হবার আশঙ্কায় রয়েছেন কোচবিহার জেলার বাংলাদেশ সীমান্তের পুণ্ডিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের তিস্তা পয়স্তি, অন্দরান কুচলিবাড়ি এবং তিস্তাপাড়ের হোসেনের চরের গ্রামের মানুষ।
এই তিনটি গ্রাম মিলিয়ে প্রায় ৪০০পরিবার রয়েছে।
এরইমধ্যেই জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় পূর্তদপ্তর সমীক্ষার কাজ শেষ করেছে।
ওই এলাকার বাসিন্দা অনিল রায়, ফুলতি রায় ও গজেন ডাকুয়া দে বলেন, “কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে চলে যেতে হলে তাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। ”
তারা বলেন, “ভারতের নাগরিক হয়েও কাঁটাতারের গেট দিয়ে নিজের দেশে ঢুকতে গেলে প্রতিনিয়ত পরিচিতিপত্র দেখাতে হবে। রাত বিরাতে বিপদ আপদ হলে বি এস এফ-কে ডেকে গেট খোলাতে হবে। এছাড়াও আরো হাজারো সমস্যা রয়েছে। ”
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, নিজেদের সীমানার মধ্যেই এভাবে কাঁটাতারের বেড়া দেবার জন্য ভারতীয় ভূখণ্ডের আয়তনই কমছে। মহকুমা শাসক এবং বি ডি ও-র কাছে আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন মেনে জিরো পয়েন্ট থেকে ১৫০ মিটার দূরে কাঁটা তারের বেড়া দেবার দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।
গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য পূর্ণিমা রায় বলেন, “এই এলাকার মানুষরা যাতে নিজভূমে পরবাসী না হয়ে পড়েন তারজন্য প্রশাসনের দ্বারস্থ হবেন তিনি। সীমান্তের বাসিন্দা হিসেবে নিরাপত্তার কারণে সবাই চায় কাঁটাতারের বেড়া হোক। কিন্তু আন্তর্জাতিক আইন মেনেই কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হোক। ”
তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় পূর্তদপ্তর যেভাবে সমীক্ষা করেছে তাতে জিরো পয়েন্ট থেকে কোথাও এক কিমি আবার কোথাও বা তারও বেশি এলাকা কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে চলে যাবে। ”
মেখলিগঞ্জের বিধায়ক পরেশ অধিকারীও এভাবে কাঁটাতারের বেড়া দেবার বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন বলে জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১২
আরডি/ সম্পাদনা: জাকারিয়া মন্ডল, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর