ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

বনধে জনজীবন বিপর্যস্ত

আগরতলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১২

আগরতলা (ত্রিপুরা): বুধবার আগরতলার অদূরে সদর পূর্বের বারো ঘণ্টার বনধ কেটেছে শান্তিপূর্ণভাবেই।

তবে বন্ধের প্রভাবে স্বাভাবিক জনজীবন প্রচণ্ডভাবে ব্যহত হয়েছে।

স্কুল, সরকারি অফিসগুলিতেও বনধের প্রভাব পড়ে। রানীরবাজার, জিরানিয়ার বেশকিছু স্কুলে পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়।

এদিকে বনধের ফলে যাতে আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কে গাড়ি চলাচলে কোনো বাধা সৃষ্টি না হয়, সে জন্য বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও টিএসআর মোতায়ন করা হয়। জাতীয় সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল বলে খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে দুপক্ষের মারামারিতে এই বনধকে ঘিরে এলাকায় তীব্র ক্ষোভ দেখা গেছে।

গত ১৩ জুলাই ত্রিপুরা বনধের দিন যে বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছিল তার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সদর পূর্বের রানির বাজারে এক প্রতিবাদ মিছিল বের করে মজলিশপুর ব্লক কংগ্রেস।

কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, এই মিছিলে আক্রমণ চালায় সিপিআইএম। স্থানীয় সিপিএম নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সন্ধ্যায় কংগ্রেসের মিছিল থেকে আক্রমণ চালানো হয় তাদের কর্মী সমর্থদের মধ্যে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে প্রথমে তর্ক-বিতর্ক এবং পরে শুরু হয় ঢিল ছোড়া ছুড়ি ও লাঠিপেটা। ঘটনার খবর পেয়েই বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।

উভয়ের মধ্যে আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমনে কংগ্রেস দলের ১৪ জন ও সিপিআইএম দলের ১০ জন আহত হন, পরে এদের জিবি হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কংগ্রেস মজলিশপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ২৪ ঘণ্টার বনধের ডাক দেয়।
অন্যদিকে রানির বাজার ব্যাবসায়ী সমিতি ও ১২ ঘণ্টার  বাজার বনধের ডাক দেয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫১ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১২
টিসি/সম্পাদনা: আহমেদ জুয়েল, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।