ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

চ্যাংরাবান্ধা-বুড়িমারি রেলপথের দাবি ব্যবসায়ীদের

শিলিগুড়ি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১২
চ্যাংরাবান্ধা-বুড়িমারি রেলপথের দাবি ব্যবসায়ীদের

শিলিগুড়ি: মাত্র ৫০০ গজ রেললাইন পাতলেই ভারত-বাংলাদেশের চ্যাংরাবান্ধা-বুড়িমারি স্থলবন্দরকে রেলপথের সাথে যুক্ত করা যায়। এবার এ দাবি তুলেছেন দুটি স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক ব্যবসায়ীরা।



বুড়িমারি এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যবসায়ী সংগঠনের সক্রিয় সদস্য জাহেদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আমরা এই রেলপথ স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন করেছি। খুব দ্রুতই এই দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যোগাযোগমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষৎ করে আবেদন জানাব।

তিনি বলেন, এখন ভারতে পাঞ্জাব থেকে গম আমদানি করা হচ্ছে বাংলাদেশে। দিল্লির গুরগাও থেকে ট্রাকে করে সড়ক পথে পণ্য চ্যাংরাবান্ধা হয়ে বুড়িমারিতে আসছে। এজন্য পরিবহন ব্যয় প্রচুর হচ্ছে। এক্ষেত্র রেল ওয়াগনে করে পাঞ্জাব, হরিয়ানা থেকে আনা হলে ব্যয় অনেক কমে যাবে।

তিনি আরও বলেন,বুড়িমারি ও চ্যাংরাবান্ধার মধ্যে রেল যোগাযোগ স্থাপনের বিশেষ কোন খরচ নেই। দিন ও রাত মিলিয়ে ৪বার বুড়িমারি ও রংপুরের মধ্যে ট্রেন চলে নিয়মিত। চ্যাংরাবান্ধাই শিগগিরই ট্রেন চালু হবে বলে শুনেছি। দুটি স্টেশনের মধ্যে রেললাইন জুড়ে দিতে জমি অধিগ্রহণ বা মাটি কাটার প্রয়োজন নেই। পাকিস্তান আমলে এ যোগাযোগ ছিল। এখন মাত্র ৫০০ গজ লাইন পাতলেই রেল চলাচল সম্ভব।

এই দাবিকে সমর্থন করে চ্যাংরাবান্ধা এক্সপোর্ট এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মূলচাঁদ বুচ্চা ও ভারতের রেলমন্ত্রী মুকুল রায়কে একটি স্মারকলিপি পাঠিয়েছেন। তিনি বলেন, এই রেলপথ চালু হলে সার্ক চুক্তি অনুয়ায়ী ভারত-বাংলাদেশ-ভূটানের সাথে এই সীমান্ত পথ দিয়ে ব্যবসা, পর্যটন এবং দু`দেশের সর্ম্পক আরও ভালো হবে।

এই সীমান্ত পথ দিয়ে গত আর্থিক বছরে ভারত,বাংলাদেশ ও ভূটানের মধ্যে বাণিজ্য আমদানি হয়েছে ৭৭ কোটি ৯৮ লাখ ১৮ হাজার ৫০ রুপির পণ্য সামগ্রী। অন্যদিকে, রফতানি হয়েছে ৩০ কোটি ৭৮ লাখ ৫৯ হাজার ৩৬৫ রুপির পণ্য সামগ্রী।

এই বিপুল পরিমান পণ্য সামগ্রী সবটাই সড়ক পথে আনা-নেওয়া করা হয়েছে। এই সীমান্তে  ব্যবসার পরিমাণ উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়ছে। এ অবস্থায় রেলপথ চালু করার পাশাপাশি চ্যাংরাবান্ধার নবনির্মিত রেলস্টেশনে পণ্য সামগ্রীর জন্য রেল ওয়াগনের পৃথক সাইডিং ও প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

এর পাশাপাশি এই স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে মাছসহ পচনশীল পণ্য আনারও দাবি করা হয়েছে। এর জন্য অবকাঠামো গড়ে তোলার কথা বলে ভারতে বাণিজ্যমন্ত্রী আনন্দ শর্মার কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছে চ্যাংরাবান্ধা এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন।

বাংলাদেশ সময়: ১২০৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১২
আরডি/সম্পাদনা: নূরনবী সিদ্দিক সুইন, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।