আগরতলা(ত্রিপুরা): ত্রিপুরায় শেষ হয়েছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। রাজ্যের ৬০ বিধায়কের মধ্যে ৫৭ জন ভোট দেন বৃহস্পতিবার।
ত্রিপুরার এক জন বিধায়কের ভোটের মূল্য ২৬টি। সে হিসেবে রাজ্যের ৫৭ জন ভোটার ভোট দানের ম,মাধ্যমে ১৪৮২ টি ভোটই প্রণব মুখপাধ্যায়ের ঝোলায় পড়বে তা বলাই বাহুল্য।
রাজ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পর্যবেক্ষক হয়ে এসেছিলেন দেবেন্দ্র সিং। এদিন ভোট গ্রহণের সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন।
রাজ্য বিধানসভার লবিতে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে সকাল দশটায় শুরু হয় ভোট গ্রহণ। রাজ্যের ৬০ জন বিধায়কের মধ্যে ৫৭ জনবিধায়ক ভোট দান করেন। বাম শরিক সিপিআই ও আর এস পির ৩বিধায়ক ভোট দানে বিরত থাকেন। সিপিআই বিধায়ক কারামন্ত্রী মনীন্দ্র রিয়াং এবং আর এস পির ২ বিধায়ক মন্ত্রী জয়গোবিন্দ দেব রায় ও বিধায়ক পার্থ দাস দলের পূর্ব ঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুসারে ভোটদানে বিরত থাকেন। বিকেল ৫ টায় ভোট পর্ব সমাপ্ত হওয়ার পর রাজ্য বিধানসভার ভেতর নির্মিত স্ট্রং রুমে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রাখা হয় ব্যালট বাক্স। শুক্রবার সকালের বিমানে ব্যালট বাক্স নিয়ে দিল্লী পাড়ি দেবেন বিধানসভার সচিব তথা এসিঃ রিটার্নিং অফিসার সুভাষ ভট্টাচার্য।
সিপিআই এম এর ৪৬ জন বিধায়ক, কংগ্রেসের ১০ জন ও আইএনপিটির এক জন বিধায়ক ভোট দান করেন। দুপুর ১২টা ১০ মিনিট নাগাদ সিপিআইএমের পক্ষে শেষ ভোট প্রদান করেন সিপিআইএম প্যলিট ব্যুরো সদস্য তথা ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। রাজ্যের তিন সাংসদ খগেন দাস, বাজুবন রিয়াং ও ঝর্ণা দাস বৈদ্য দিল্লীর সাংসদ ভবনে ভোট দান করেন।
সংসদের উভয় কক্ষ এবং বিভিন্ন রাজ্য বিধানসভার সদস্যদের নিয়ে গঠিত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ইলেকটোরাল কলেজেমোট ভোটমূল্য ১০,৯৮,৮৮২। জেতার জন্য প্রয়োজন, ৫,৪৯,৪৪২ ভোট। এর মধ্যে ‘পূর্ঘোষিত সমর্থন’অনুযায়ী অন্তত ৭,১৯,০০০ ভোট পেতে পারেন প্রণব মুখার্জি। মেঘালয়ের এনসিপি নেতা পি এ সাংমা পেতে পারেন ৩,১৩,০০০ ভোট। এখনও পর্যন্ত ৩৬,০০০ ভোট কার পক্ষে যাবে সেসম্পর্কে অনিশ্চয়তা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১২
প্রতিনিধি/ সম্পাদনা: জাকারিয়া মন্ডল, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর