আগরতলা (ত্রিপুরা): বাংলাদেশের নন্দিত ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুতে শোকমগ্ন পড়শি আগরতলাও। রাজ্যের কবি, সাহিত্যিক, গল্পকাররা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সাহিত্য জগতের এই উজ্জ্বল নক্ষত্রের প্রয়াণে।
আগরতলার বুদ্ধিজীবিদের মতে, ‘‘হুমায়ূন আহমেদ শুধু বাংলাদেশের নন, তিনি গোটা উপমহাদেশের, তিনি আমাদের সবার। ’’
রাজ্যের বিশিষ্ট কবি এবং গল্পকার কল্যাণব্রত চক্রবর্তী বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশে হুমায়ূন আহমেদের জনপ্রিয়তা বিপুল। যা আমাদের কাছে বিস্ময়কর। অনেকটা তরুণ বয়সেই তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। এই উপমহাদেশে যারা লেখালেখি করেন, এটা তাদের জন্য দুর্ভাগ্যের। তার সাহিত্য সৃষ্টির বিপুল সম্ভার অনাগত কালের জন্য এক দুর্লভ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আমরা তার আত্মীয়-স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। ’’
স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কল্যাণব্রত চক্রবর্তী জানান, ২০০৫ সালে আগরতলায় এসেছিলেন হুমায়ূন আহমেদ। আগরতলা বইমেলাকে কেন্দ্র করে তার এখানে আসা।
খুব প্রানবন্ত লোক ছিলেন তিনি। সেবার রাজধানীর রাজর্ষি যাত্রী নিবাসে এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তাকে সংবর্ধনা জানানো হয়েছিল। তিনিও আপ্লুত হয়েছিলেন। বাংলাদেশ থেকে তার সঙ্গে সে সময় অনেকেই এসেছিলেন।
উল্লেখ্য, নিউইয়র্ক সময় বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ২০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ২০ মিনিট) নিউইয়র্কের বেলভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হুমায়ূন আহমেদ মৃত্যুবরণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১২
তন্ময় চক্রবর্তী/সম্পাদনা: বেনু সূত্রধর, নিউজরুম এডিটর ও অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর