আগরতলা (ত্রিপুরা) : চাল নিয়ে শুরু হয়ে গেল ত্রিপুরা রাজ্যের শাসকদল সিপিএম এবং বিরোধী কংগ্রেসের মধ্যে রাজনৈতিক দ্বন্দ।
রাজ্যের গরীবদের দু’টাকা কেজি দরে চাল দেওয়া নিয়ে মুখ খুললেন বিরোধী দলনেতা রতন লাল নাথ।
বিরোধী দল নেতা জানান, নির্বাচনের প্রাক্কালে গরীব মানুষের ক্ষোভ প্রশমিত করতে এই ফন্দি এঁটেছে শাসক দল।
গত বুধবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, গরীব অংশের লোকজনদের অল্প দামে চাল দেবার এই সিদ্ধান্তের ঘোষণা করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে রাজ্যের প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন।
তিনি জানান, বি পি এল ও অন্ত্যোদয় যোজনায় বরাদ্দকৃত চালের দাম কমিয়ে আনা হল ২ টাকা কেজি দরে। আগামী আগস্ট মাস থেকেই হ্রাসকৃত এই মূল্য কার্যকর হবে। তিনি জানান রাজ্যে বর্তমানে বি পি এল কার্ড রয়েছে ১ লক্ষ ৮১ হাজার ৮ শ ৭৬ টি।
অন্ত্যোদয় যোজনায় কার্ড রয়েছে ১ লক্ষ ১৩ হাজার ১শ’ ২৪টি। এতে বছরে রাজ্য কোষাগার থেকে অতিরিক্ত ব্যয় হবে ৩৬ কোটি টাকা। এ পি এল কার্ড হোল্ডার রয়েছে ৬ লক্ষ ৬৬ হাজার ৩ শ ৬৬ জন। কার্ড পিছু চাল সরবরাহ করা হয় ১৮ কেজি, আগামী মাস থেকে তা বাড়িয়ে করা হবে ২০ কেজি।
রাজ্যের গরীব অংশের মানুষকে দু’টাকা কেজি দরে চাল দেওয়ার ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মহলে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক টানা পোড়েন। বিশেষ করে ২০১৩ বিধান সভা নির্বাচনের প্রাক মূহুর্তে এই ইস্যুতে এখন মুখর হচ্ছে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস।
বিরোধী দলনেতা রতন লাল নাথ বলেন পশ্চিমবঙ্গে ৩৪ বছর পর বামফ্রন্টকে চিনতে পেরেছিল মানুষ। আর এই রাজ্যে ১৯ বছর পরই মানুষ তাদের চিনে ফেলেছে।
বিরোধী নেতার অভিযোগ সাধারণ মানুষের দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিতেও ভোটের ফায়দা লুঠতে দু’টাকা কেজি দরে চাল দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাম সরকার। ২০০৯ সালে কংগ্রেস দলই নির্বাচনী ইস্তেহারে দু’টাকা কেজি দরে চাল দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল।
এবার ৪ বছর ২ মাস পর নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে বাম সরকারের কম দামে চাল দেওয়ার কথা মনে পড়েছে। রতন লাল নাথ অভিযোগ করেন এটিও রাজনীতির খেলা।
বাংলাদেশ সময় : ২০০১ ঘন্টা, জুলাই ২০, ২০১২
তন্ময়/সম্পাদনা : সুকুমার সরকার, কো-অর্ডিনেশন এডিটর
kumar.sarkerbd@gmail.com