ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটে একা লড়ার ঘোষণা মমতার

কলকাতা ব্যুরো | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৬ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১২
পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটে একা লড়ার ঘোষণা মমতার

কলকাতা: শহীদ দিবসের মঞ্চে শনিবার জনজোয়ারে ভেসে রাজ্যের উন্নয়নের বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিলেন, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করছে না তৃণমূল কংগ্রেস।



তিনি ঘোষণা করেন, রাজ্যের যে বিশাল পরিমাণ সুদের দেনা রয়েছে, তা কেন্দ্রকে মওকুফ করতেই হবে। সেই সঙ্গে কেন্দ্র যদি বাংলাকে বঞ্চনা করে তবে প্রয়োজনে বাংলা দিল্লিতে গিয়েই তাদের দাবি আদায় করে আনবে।

কংগ্রেসকে আরও এক হাত নিয়ে তিনি বলেন, “বাংলায় আমরা একাই লড়বো। কারও সাহায্যের প্রয়োজন নেই। দিল্লিতে জোটে আছি। যতোদিন সম্মান থাকবে, আছি৷ কেন্দ্রে জোট অটুট থাকলেও বাংলায় তৃণমূল একলাই চলবে। ”

আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে তারা যে কংগ্রেসকে পাত্তা দিচ্ছেন না তাও পরিষ্কার করে দেন মমতা।

এর পাশাপাশি পঞ্চায়েত নির্বাচনে পরিবর্তনের ডাক দিয়ে তিনি বলেন, “সিপিএমকে জেলা পরিষদ গঠন করতে দেবেন না এবং সব পঞ্চায়েতগুলোতে তৃণমূলকে জয়যুক্ত করুন। পুজোর পরে পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে। ”

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “২৯ জুলাইয়ের জিটিএ নির্বাচনে যে ১৭টি আসনে তৃণমূল প্রার্থী দিয়েছিল, তাও তারা তুলে নিলেন। ৪ আগস্ট জিটিএ বোর্ড গঠন করবে মোর্চা। রাজনৈতিক ইন্টারেস্ট থেকে পাহাড়ের ইন্টারেস্ট অনেক বেশি। মোর্চার সঙ্গে আমরা বিবাদে যেতে চাই না। ”

তিনি আরো বলেন, ‘‘মামলা মিটলে সিঙ্গুরের জমি ফিরিয়ে দেবো। ’’ জঙ্গলমহলে বন্দুকের আওয়াজ আর নেই বলেও বক্তব্যে জানান তৃণমূল নেত্রী।

তিনি পশ্চিম বাংলায় যা যা কাজ হয়েছে তারও তালিকা দেন। তিনি বলেন, ১লাখ কোটি রুপির ওপর বিনিয়োগ হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে।

তিনি বলেন, দেশের জিডিপির চেয়ে পশ্চিমবঙ্গের জিডিপি অনেক ওপরে। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, কিষানবাজার তৈরি করবেন। কিষানদের জন্য কিষান-বিমা করে দেবেন।

শহীদ দিবসের সমাবেশে যোগ দিতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিপুল সংখ্যায় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা জড়ো হন ধর্মতলায়। হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশনসহ শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে মিছিল করে সভাস্থলের দিকে যান তৃণমূল সমর্থকরা।

তৃণমূল সমর্থকদের ভিড়ে বড়সড় যানজট সৃষ্টি হয় শহরে। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে রাস্তার বাঁদিক দিয়ে মিছিল যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল প্রশাসনের পক্ষ থেকে। তা সত্ত্বেও ভিড়ের চাপে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দিতে হয়।

সভাস্থল থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে বন্ধ করা হয় যান চলাচল। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতেও ট্রাফিকের গতি প্রায় স্তব্ধ হয়ে যায়। ধর্মতলায় তৃণমূল সমর্থকদের ভিড়ে আটকে যায় একটি অ্যাম্বুলেন্স। ভিড়ে বের হওয়ার রাস্তা না পাওয়ায় চরম অসুবিধেয় পড়েন অ্যাম্বুলেন্স চালক। পরে ধীরে ধীরে অ্যাম্বুলেন্সটিকে বের করে দেওয়া হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১২
আরডি/ সম্পাদনা: অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।