আগরতলা (ত্রিপুরা) : বাংলাদেশের মাটি অন্য কোন দেশবিরোধী কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। আগরতলা এসে এ কথাই জানালেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মিজারুল কায়েস।
পাশাপাশি তিনি দুই দেশের মধ্যে বন্দি প্রত্যাবর্তন চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। সচিব জানান, দু দেশের সাজা প্রাপ্ত কয়েদিদের ফিরিয়ে দেয়া সংক্রান্ত একটি চুক্তি ইতোমধ্যে হয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কও অত্যন্ত সুদৃঢ়।
বৃহস্পতিবার সকালে মহাকরণে তিনি দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের সঙ্গে। তাদের দুজনের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হয়। উঠে আসে তিস্তা পানিবণ্টন, ঢাকা হয়ে আগরতলা-কলকাতা সরাসরি বাস সার্ভিস, চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার বিভিন্ন বিষয়।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর মিজারুল কায়েস জানান, ভারত বাংলাদেশের মধ্যে কোন জটিলতা যেন না থাকে তা দেখা হচ্ছে। সমস্ত প্রতিবন্ধকতা সুরাহা হবে। তার জন্যই তিনি ভারত সফরে এসেছেন।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আসাম ও ত্রিপুরা সফরে এসেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মহম্মদ মিজারুল কায়েম। আসামের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বৃহস্পতিবার ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের সঙ্গে দেখা করেন বাংলাদেশ পররাষ্ট্র সচিব।
এদিন তিনি ত্রিপুরার মহাকরণের কনফারেন্স হলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার ও মুখ্যসচিব এস কে পাণ্ডার সঙ্গে বৈঠক করেন। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ও ত্রিপুরার কর্মকর্তারা। বৈঠকে ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা হয়।
বাংলাদেশের স্থল বন্দর নির্মাণ, কাঁটাতারের বেড়ার কাজের অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে মিজারুল কায়েস সাংবাদিকদের জানান, দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক নিবিড় করার জন্য রুটিন মাফিক তার এই সফর।
তিস্তা পানিবন্টন নিয়ে তিনি কিছু না বললেও আশুগঞ্জ বন্দরের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য ভারত সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। এদিন দুপুরে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক আলোচনা চক্রে বক্তব্য রাখেন তিনি।
এখানে তিনি জোর দেন পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর। এ প্রসঙ্গে তিনি ইউরোপের বর্তমান অবস্থার কথা উল্লেখ করেন। সব শেষে বিশ্ববিদ্যালয়েই করেন সাংবাদিক সম্মেলন।
বুধবার সন্ধ্যায় গুয়াহাটি থেকে রাজ্যে এসে পৌঁছান মিজারুল কায়েস। সন্ধ্যায় বাংলাদেশ এবং ত্রিপুরার শিল্পীদের নিয়ে আয়োজিত এক চিত্র প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন তিনি।
বাংলাদেশ সময় : ১৮৫১ ঘন্টা, জুলাই ২৬, ২০১২
সম্পাদনা : সুকুমার সরকার, কো-অর্ডিনেশন এডিটর
kumar.sarkerbd@gmail.com