গুয়াহাটি: আসামের কোকরাঝাড়ে সংঘর্ষপ্রবণ এলাকাগুলি পরিদর্শনে শনিবার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও ইউপিএ চেয়ারপারসন সোনিয়া গান্ধীর যাওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সেখানে যেতে পারেননি তারা।
হেলিকপ্টারে করে ১১টায় কোকরাঝাড় সার্কিট হাউসে পৌঁছানোর কথা থাকলেও যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য চপার সেখানে নামতে পারেনি।
প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, সোনিয়া গান্ধী ও আসামের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈইয়ের এলাকার পরিস্থিতি ক্ষতিয়ে দেখার কথা আছে। তারা দুরাবারি রিলিফ ক্যাম্প পরিদর্শনেও যেতে পারেন।
তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, নিরাপত্তার কারণে তারা সেখানে যাবেন না। কারণ, সেখানে ক’দিন আগে এক নারীকে গুলি করে খুন করা হয় এবং ক্যাম্পে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হওয়ার ৮ দিন বাদে প্রধানমন্ত্রীর এ সফর। এ পর্যন্ত সংঘর্ষে ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সংঘর্ষে সরকার বিপর্যস্ত। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ৪ লাখ মানুষ রিলিফ ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। কেন্দ্রীয়বাহিনী সেখানে টহল দিচ্ছে, ফ্ল্যাগমার্চ করছে।
শুক্রবারই মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈই কেন্দ্রীয়বাহিনী আসতে দেরি হওয়ায় সংঘর্ষ এতদূর গড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেন। সংঘর্ষের তিন দিন বাদে কেন্দ্রীয়বাহিনী সেখানে পৌঁছায় বলেও অভিযোগ করেন তিনি । তা না হলে অনেকগুলি প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হত বলেও জানান তিনি।
সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম আসামের সংঘর্ষপ্রবণ জেলাগুলি পরিদর্শন করবেন। সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখবেন এবং উদ্ধারকাজের তদারকি করবেন। তিনি সেখানকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশ ও উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলবেন।
চিদাম্বরম স্থানীয় বোরো নেতা এবং মুসলিম নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন। তিনি কয়েকটি রিলিফ ক্যাম্প ঘুরে দেখবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১২
আরডি/ সম্পাদনা: জাকারিয়া মন্ডল, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর