কলকাতা: বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারত সরকার। একইসঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাঠানো হচ্ছে ১৪ হাজার ৪০০ টন পেঁয়াজ।
সোমবার (০৪ মার্চ) ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেডের (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
রমজানের আগেই উভয় দেশে ধাপে ধাপে পেঁয়াজ পৌঁছাবে। সোমবার ডিজিএফটি’র তরফে আরও জানা যায়, ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এক্সপোর্টস লিমিটেড (এনসিইএল) নামের একটি সংস্থাকে উভয় দেশ পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশটির কেন্দ্রীয় ভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করার বিষয়ে রূপরেখা দ্রুত তৈরি করবে এনসিইএল।
পাশাপাশি ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম যাতে নাগালের বাইরে না চলে যায় সেদিকে খেয়াল রেখেই সুসংগঠিতভাবে পেঁয়াজ রপ্তানি করতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার।
অন্যদিকে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে পেঁয়াজ যাবে ১৪ হাজার ৪০০ টন। তা পাঠানো হবে প্রতি তিন মাসে তিন হাজার ৬০০ টন করে।
গতবছর আবহাওয়া খারাপের কারণে ভারতের পেঁয়াজ উৎপাদনে যথেষ্ট ক্ষতির মুখ দেখেছিল চাষিরা। ফলে ভারতের বাজারেই পেঁয়াজের চরম ঘাটতি দেখা দেয়। অক্টোবরে পূজার মাসে কলকাতায় পেঁয়াজের দাম ১০০ রুপি ছাড়িয়ে যায়। সেই দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে ও ভারতের বাজারে পেঁয়াজ সরবরাহ বাড়াতে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর থেকে পেঁয়াজ রপ্তানিতে ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার, যা আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
এমন পরিস্থিতিতে ভারতের কাছে পেঁয়াজের চায় প্রতিবেশী দেশগুলো। তারপরই নিষেধাজ্ঞায় শিথিলতা এনে বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রগুলোয় প্রয়োজন অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ রপ্তানির বিষয়ে অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
তবে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে সম্প্রতি ভারত সফরে আসা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নয়া দিল্লিতেই বসেই জানিয়েছিলেন, রমজানের আগে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ এবং এক লাখ টন চিনি বাংলাদেশ যাতে পায় সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযুষ গোয়ালের সঙ্গে কথা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০২৪
ভিএস/এসআইএ