আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সুদিপ রায় বর্মণের চিঠি ফাঁসের ঘটনায় রাজ্যের রাজনীতিতে এখন উষ্ণ পরিবেশ। রাজ্য বামফ্রন্ট কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কংগ্রেস শুধু বেকারদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।
উল্লেখ্য, রাজ্য সরকার প্রাথমিক স্কুলগুলোর জন্য প্রায় ৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তুতি নেয়। এতে প্রায় দেড় লাখ ছেলে-মেয়ে ইন্টারভিউ দেন। রাজ্য সরকার এই নিয়োগ চূড়ান্ত করার ব্যপারে যখন সমস্ত প্রস্তুতি নিয়ে নেয় তখনই কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, শিক্ষক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছেলে-মেয়ে(টেট) ছাড়া যেন চাকুরি না দেওয়া হয়। এতে বিড়ম্বনায় পড়ে রাজ্য সরকার। তারা দাবি করে, টেট’র বিষয়টি যেন বাধ্যতামূলক করা না হয়।
এ নিয়ে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয় প্রথম দিকে কিছুটা নরম মনোভাব নেয়। গত ৫ জুন এ বিষয়ে দিল্লিতে বৈঠক হবার কথা ছিল। কিন্তু এর আগেই রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বিধায়ক সুদিপ রায় বর্মণ কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী কপিল সিবালের কাছে চিঠি লেখেন। এতে তিনি বলেন, ত্রিপুরা সরকারকে যাতে ওই ৫ হাজার চাকরি দেবার অনুমতি না দেওয়া হয়। এ চাকরি দেওয়া হলে বামফ্রন্ট ঘরের ছেলে-মেয়েরা চাকরি পাবেন। এতে আগামী আট মাস পর রাজ্যে যে বিধানসভা নির্বাচন হবে তাতে অসুবিধায় পড়তে হবে কংগ্রেসকে।
সুদিপ রায় বর্মণের লেখা ওই চিঠি গত কয়েকদিন আগে ফাঁস হয়ে যায়। এ নিয়েই রাজ্যের রাজনীতি এখন সরগরম।
সিপিএম এবং বামপন্থী দলগুলো কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বেকারদের সঙ্গে বঞ্চনা এবং বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ এনেছে। তারা বলেছে, কংগ্রেস সব সময় এ রাজ্যের বেকারদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এ রাজ্যের বেকাররা যাতে চাকরি পেতে না পারেন, সে ব্যবস্থা করছেন কংগ্রেসের সভাপতি।
এদিকে সুদিপ বর্মণ জানিয়েছেন, তিনি রাজ্যের ভালো চান। তাই এ চিঠি দিয়েছেন। যাতে সিপিএম তার পাঁচ হাজার ক্যাডারকে চাকরি দিতে না পারে।
আগামী সাত মাস পর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। নির্বাচনের আগে কংগ্রেস সভাপতির এ চিঠি যে বড় ইস্যু হতে যাচ্ছে, তা পরিষ্কার।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১২
তন্ময় চক্রবর্তী/ সম্পাদনা: অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর