ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

আগরতলায় স্মরণসভা

পূর্ববঙ্গীয় নিজস্ব টান ধরা ভাষাতেই মিসির হিমু

আগরতলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৯ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১২
পূর্ববঙ্গীয় নিজস্ব টান ধরা ভাষাতেই মিসির হিমু

আগরতলা (ত্রিপুরা) : আগরতলার শিল্পী, সাহিত্যিক বুদ্ধিজীবিরা স্মরণ করল বাংলাদেশের নন্দিত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদকে।

শনিবার সন্ধ্যায় আগরতলা প্রেসক্লাবে এই অমর সাহিত্যিককে যারা স্মরণ করল তাদের মধ্যে বিস্তর দূরত্ব।

সবচেয়ে বড় বাধা হল রাষ্ট্রীয় সীমানা। মাথা উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে কাঁটাতারের বেড়া। কিন্তু একটি নামেই ধুয়ে গেল সব দূরত্ব, যেন মুছে গেল সীমান্ত রেখা। হুমায়ূন আহমেদের স্মরণসভায় মিলেমিশে একাকার হলো ঢাকা আর আগরতলা।

আগরতলার প্রকাশনী সংস্থা অক্ষর আয়োজিত এ স্মরণসভায় রাজ্যের বিশিষ্ট শিল্পী সাহিত্যিকরা হুমায়‍ূন আহমেদকে নিয়ে তাদের ভালোলাগার কথা জানালেন।

বললেন, “শুধু সাহিত্যের জগতে বিচরণ করে যে মানুষের এতো কাছে পৌঁছা যায়, মানুষের হৃদয়ের অন্তস্থলে এতো শক্ত পোক্ত জায়গা করা যায়, সমৃদ্ধির এমন শীর্ষে পৌঁছা যায়- তা দেখিয়ে গেলেন হুমায়ূন। ”
 
আগরতলার সাহিত্যিকরা এ স্মরণ সভায় জানালেন, বাংলার এই কথাকার তাঁর লেখায় বাংলা ভাষাকে ব্যবহার করেছেন পূর্ববঙ্গের স্বকীয় বাংলা ভাষা হিসেবে। কলকাতার ‘এলিট’ বাংলা হিসেবে না। এখানেই তিনি অনন্য। পূর্ববঙ্গীয় নিজস্ব টান ধরা ভাষাতেই তিনি সৃষ্টি করেছেন মিসির আলি, হিমুর মতো মাটির কাছাকাছি থাকা অসংখ্য ভালোলাগা চরিত্র।

হুমায়ূন আহমেদের আগরতলার বন্ধু কবি রাতুল দেববর্মণ বলেন, “কিছু কিছু মৃত্যু বুকটা খালি করে দিয়ে যায়। আমার কাছে হুমায়ূন ভাইয়ের মৃত্যু সে ধরনেরই বুক খালি করে দেওয়া একটি মারাত্মক ঘটনা। ”
স্মরণসভায় অন্যরা বলেন, “হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন সাহিত্যের জাদুকর। তরুণদের তিনি টেনে এনেছিলেন বই পড়ার অভ্যাসে। ”

বাংলাদেশ সময়: ১৩০১ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১২
প্রতিনিধি/ সম্পাদনা: জাকারিয়া মন্ডল, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।