কলকাতা: ১৫ মিনিটের কালবৈশাখী ঝড়ে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়িতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ২০০ জনের বেশি।
উত্তরবঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস ক'দিন আগে দিয়েছিল আবহাওয়া দপ্তর। সে অনুযায়ী, রোববার (৩১ মার্চ) বিকেলে জলপাইগুড়ি জেলায় ব্যাপক কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। জেলার ময়নাগুড়ি এলাকায় বেশ বড় মাপের শিলা পড়ে। স্থানীয়দের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আধাকেজি ওজনের শিলাও পড়েছে। মাত্র কয়েক মিনিটের তাণ্ডবে জলপাইগুড়ি সদর ব্লক, ময়নাগুড়ি ব্লকের বেশ কিছু এলাকায় বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়।
ঝড়ে গাছ চাপা পড়ে এক পথচারীর মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঝড়ের সময় দিজেন্দ্র নারায়ণ সরকার নামে ওই ব্যক্তি গাছের নিচে আশ্রয় নিয়েছিলেন। আচমকা তার মাথার ওপর গাছ ভেঙে পড়ে। অপর এক মৃতের নাম অনিমা মণ্ডল (৪৮)। পুলিশ জানিয়েছে, ঝড়ের সময়ে ব্যাটারিচালিত টোটোয় ধাক্কা লেগে মারা গিয়েছেন তিনি। অন্য দুই মৃত ব্যক্তির নাম যোগেন রায় (৭০) ও সমর রায় (৬৪)।
এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে পোস্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এক্স-এ তিনি লিখেছেন, হঠাৎ ভারী বৃষ্টিপাত এবং ঝড়ো হাওয়ায় আজ বিকেলে জলপাইগুড়ি-ময়নাগুড়ি এলাকায় বিপর্যয় নেমে আসে। মানুষের প্রাণহানি হয়েছে, আহত হয়েছেন বহু মানুষ, ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে। গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে।
একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, জেলা ও ব্লক প্রশাসন, পুলিশ, ডিএমজি এবং কিউআরটি দল বিপর্যয় মোকাবিলায় কাজ করছে। ত্রাণ সরবরাহ চলছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন নিয়মানুযায়ী এবং লোকসভা ভোটের আদর্শ আচরণবিধি অনুসরণ করে নিহতদের পরিবার এবং আহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। জেলা প্রশাসন পরিস্থিতি সামাল দিতে সমস্ত ব্যবস্থা করবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন।
রোববার কৃষ্ণনগরে লোকসভা ভোটের প্রচারে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকেই শুরু করেন ভোটের প্রচার। হেলিকপ্টারে সন্ধ্যায় ফিরেও এসেছিলেন কলকাতায়। তবে জলপাইগুড়িতে ঝড়ের খবর পেয়ে পরে সেখানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩১ ঘণ্টা, ৩১ মার্চ, ২০২৪
ভিএস/ইইউডি/আরএ