ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

সব হাতে মোবাইল ফোন কর্মসূচি দিয়ে ক্ষমতায় ফেরার স্লোগান কংগ্রেসের!

নয়াদিল্লি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০১২

নয়াদিল্লি: ২০০৪ সালের ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ‘ভারত উদয়’ আর ‘ফিল গুড’ স্লোগানের মোকাবিলা করতে আম-জনতার প্রতি সুদীর্ঘ দায়বদ্ধতার ইতিহাসই তুলে ধরা হয়েছিল শতাব্দী প্রাচীন রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। আর তাতে সাফল্যও এসেছিল হাতেনাতে।

‘কংগ্রেসকা হাথ, আম আদমি কে সাথ’ এ স্লোগান দিয়েই ভোটে বাজিমাত করেছিল কংগ্রেস।

এবার ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে দেশের প্রতিটি নাগরিকের হাতে মোবাইল ফোন তুলে দেওয়ার অঙ্গীকার করতে চলেছে মনমোহন সরকার।

দিল্লির ৪ আকবর রোডের কংগ্রেসের নীতি নির্ধারকদের ধারণা, ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের সাফল্যের পর এ ‘হর হাথ পে মোবাইল ফোন’ কর্মসূচি ফের বৃদ্ধি করবে দলের ভোটব্যাংক।

অদূর ভবিষ্যতে চাল, ডাল, গমের সঙ্গে সঙ্গে বিপিএল কার্ডধারীদের মোবাইল ফোনও দেওয়া হতে পারে! দেওয়া হতে পারে, ২০০ মিনিটের ফ্রি লোকাল কলও!

সাউথ ব্লক সূত্রের খবর, আগামী ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসের দিন লালকেল্লা থেকে দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা প্রান্তিক নাগরিকদের জন্য নয়া এ প্রকল্পের ঘোষণা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।

এদিকে বিজেপির অভিযোগ, পেট্রোপণ্যের ধারাবাহিক মূল্যবৃদ্ধি থেকে শুরু করে খাদ্যপণ্যের দামের লাগাতার উর্ধ্বগতি, সমস্ত ক্ষেত্রেই জনগণের পকেটে টান পড়েছে দ্বিতীয় ইউপিএ’র জমানায়।

তারপরও কংগ্রেস নেতৃত্বের এই জনপ্রিয় রাজনীতিতে শঙ্কিত বিজেপি শিবির। শাসক দলের বিরুদ্ধে চমকের রাজনীতি করার অভিযোগ এনে বিজেপির মুখপাত্র বলবীর পুঞ্জের দাবি, যে দেশের প্রতিটি ঘরে এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি, সেখানে মোবাইল পরিসেবা অপ্রয়োজনীয়। বিদ্যুৎ না পেলে গ্রামের দরিদ্র সাধারণ নাগরিকরা কিভাবে মোবাইলে চার্জ দেবেন, সে প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।

সেই সঙ্গে তার অভিযোগ, ইউপিএ সরকারের এ প্রকল্প দেশের উর্ধ্বগামী অপরাধ গ্রাফকে আরও বাড়িয়ে দেবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১২
আরডি/ সম্পাদনা: অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।