আগরতলা (ত্রিপুরা) : শিলংয়ের বাস দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩১। আহত ২৬ জন।
নিহতদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তবে নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই রাজ্যের হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গৌহাটি থেকে যাত্রী নিয়ে ত্রিপুরায় আসার সময় বুধবার ভোরে ৩০০ ফুট গভীর খাদে পরে যায় একটি যাত্রীবাহী বাস। এ এস ০১ ওয়াই ৭৩৭৯ নম্বরের শেরওয়ালী ট্রাভেলসের যাত্রীবাহী সুপার বাসটি প্রায় ৫৬ জন যাত্রী নিয়ে মঙ্গলবার রাতে গৌহাটি থেকে ত্রিপুরার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
মেঘালয়ের কেলেরিয়া থানার সোনাপুর টাংথাং-এ একটি বাঁক নিতে গিয়ে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোজা ৩০০ ফুট গভীরে পড়ে যায়।
ঘটনাস্থলেই ৩০ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়। কেলেরিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর সেখান থেকে ১০ আহত যাত্রীকে শিলচর মেডি্ক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। বাকী ১৬ জনকে চিকিৎসার জন্য শিলংয়ের উডল্যান্ড নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয়।
যাত্রীদের মধ্যে উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, মিজোরাম, কাছার, হরিয়ানাসহ ত্রিপুরার যাত্রীও রয়েছেন এবং বেশীর ভাগই নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ান বলে খবর।
নিহতদের মধ্যে ত্রিপুরার গান্ধীগ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তম দেবনাথ, কাঞ্চনবাড়ির রুপক মজুমদার ও দীপক মজুমদার, আমতলীর সন্দ্বীপ বনিক ও রানীর বাজারের বিভাস চন্দ্র ঘোষকে শনাক্ত করা গেছে। এছাড়া হরিয়ানার তিন ও ছয় বছরের দুটি শিশুকে জীবিত অবস্থায় পাওয়া গেলেও তাদের মাতা-পিতার কোন হদিশ নেই।
উনকোটির জেলা প্রশাসক অভিষেক চন্দ, ডিটিও টি ডার্লং, সিনিয়র এমভিআই বিজয় দেববর্মা, চুড়াইবাড়ির এমভিআই রবীন্দ্র সিনহা ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে মৃতদেহ সনাক্ত করে ধর্মনগরের উদ্দ্যেশে রওনা হয়েছেন। গাড়ির চালক ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে। তবে কনডাক্টার জীবিত।
বাংলাদেশ সময় : ১২২৬ ঘণ্টা, আগষ্ট ০৯, ২০১২
সম্পাদনা : সুকুমার সরকার, কো-অর্ডিনেশন এডিটর
kumar.sarkerbd@gmail.com