কলকাতা: টানা তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি কিছুটা মুক্তি পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গবাসী। সোমবার (৬ মে) বঙ্গবাসী পেয়েছে স্বস্তির বৃষ্টি।
তবে স্বস্তির বৃষ্টি, রাজ্যের বহু জায়গায় প্রাণঘাতি রূপ ধারণ করেছে। সোম ও মঙ্গল মিলিয়ে কালবৈশাখীতে ২১ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে।
সোমবার (৬ মে) রাতে ঝড়-বৃষ্টির জেরে রাজ্যে ১২ জনের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সামাজিক মাধ্যমে বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্য প্রশাসন দুর্গতদের পাশে আছে। বিপর্যয় মোকাবিলা এবং ত্রাণসামগ্রী ও গাইডলাইন মেনে আর্থিক সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা নিয়েছে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার রাজ্যের দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বজ্রপাত ও দেয়াল ধসে এবং গাছ পড়ে নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। সবমিলিয়ে বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা মিলিয়ে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ঝড়-বৃষ্টিজনিত ও বর্ষাকালের দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা বৃহস্পতিবার (৯ মে) প্রশাসনিক ভবন নবান্নে বিশেষ বৈঠক ডেকেছেন। বিপর্যয় মোকাবিলাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের শীর্ষ কর্তা ও জেলা প্রশাসনের কর্তারাও বৈঠকে যোগ দেবেন। সেখানে দুর্যোগ মোকাবিলায় আগাম ব্যবস্থা গ্রহণে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
বুধবার কলকাতার আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা হবিবুর রহমান বিশ্বাস জানিয়েছেন, শনিবার (১১ মে) অবদি প্রায় সব জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো দমকা হাওয়া। শুক্রবার (১০ মে) ঝড়-বৃষ্টির মাত্রা বেশি হতে পারে। তাই দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলার জন্য ওইদিন ‘কমলা’ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে দেড় কিলোমিটার ওপরে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। যা বাংলাদেশ ও সংলগ্ন অঞ্চলের ওপর অবস্থান করছে। এছাড়া আরেকটি ঘূর্ণাবর্ত মধ্যপ্রদেশ থেকে ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, রাজস্থান, ছত্তিশগড় পর্যন্ত বিস্তৃত ৷ এর ফলে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাস এই পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করছে। বৃহস্পতিবার নতুন করে পশ্চিমীঝঞ্ঝা ঢুকবে।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সমুদ্রতট ও তীরবর্তী এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে। দুই-এক জায়গায় দুই মিটার পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে আশঙ্কা আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের। মৎস্যজীবীদের বাংলার উপকূলে সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৬ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০২৪
ভিএস/এএটি