কলকাতা: চেতলা ধর্ষণের ঘটনার ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই বয়ান বদলে ফেললেন অভিযোগকারিনী। নিজের বয়ানের থেকে একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে মঙ্গলবার স্বীকার করে নিলেন, মিথ্যে কথা বলেছিলেন তিনি।
তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই তার ওপর চাপ দেওয়া হচ্ছিল মিথ্যা কথা বলার জন্য। সেই কারণেই তিনি পুলিশের কাছে মিথ্যা অভিযোগ করেছিলেন বলে এদিন স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।
তার অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে ছেনো নামক যে যুবককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ, তিনি নির্দোষ বলেও জানিয়েছেন অভিযাগকারিনী। শুরু থেকেই তার বয়ানে অসঙ্গতি ধরা পড়ায় ধর্ষণের ঘটনা সাজানো বলে সন্দেহ ছিল পুলিশের। মঙ্গলবার স্বীকারোক্তিতে পুলিশের অনুমানই কার্যত সত্যি হলো।
অবশ্য সোমবারই রাজ্যের পৌর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ ওরফে ববি হাকিম বলেছিলেন, পুলিশ কি গণৎকার? কী করে আগে থেকে জানবে ধর্ষণ হবে?
তিনি দাবি করেছিলেন, আগের চেয়ে রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। চেতলাকাণ্ডে দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার আটক ছেনোকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত। এদিন তাকে আদালতে হাজির করার সময় এসইউসি ও তৃণমূল সর্মথকদের মধ্যে তুমুল ধস্তাধস্তি হয়।
বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের জোট সঙ্গী এসইউসির দাবি, চেতলাকাণ্ডে ধৃতকে কড়া শাস্তি দিতে হবে।
অন্যদিকে, ধৃত ছেনোর বাড়ির লোক, প্রতিবেশীরা আদালত চত্বরে হাজির হয়ে পাল্টা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। দলীয় পতাকা হাতে নিজেদের তৃণমূলের লোক দাবি করে তাদের অভিযোগ, মিথ্যে মামলায় ছেনোকে ফাঁসানো হয়েছে। তাকে মুক্তি দিতে হবে।
ছেনোকে কোর্ট লক-আপে ঢোকানোর সময়ই এসইউসি-তৃণমূলের লোকজেনর মধ্যে রীতিমতো ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। গার্ড রেল দিয়ে ব্যারিকেড করে লকআপ চত্বর ঘিরে ফেলে পুলিশ। আদালত চত্বরে আরও পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১২
আরডি/সম্পাদনা: আহমেদ জুয়েল, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর