কলকাতা: আর মাত্র একটি দিন, তারপরই খুশির ঈদ। তাই শেষ মুহূর্তে কলকাতায় জমজমাট ঈদের বাজার।
শেষ জুমার দিন আর শনিবার সকাল থেকেই মহানগরীরির বিভিন্ন বাজারে তাই জামাকাপড়, সেমাই-লাচ্চা, টুপি আতর দেদারসে বিক্রি হচ্ছে। কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলা-নিউমার্কেট চত্বরে ভিড়ের ঠেলায় এখন হাঁটাই দায়।
তবে গতবারের তুলনায় এবার দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ বলছেন বিক্রেতারা।
বেলগাছিয়া, রাজাবাজার, পার্কসার্কাস, রিপন স্ট্রিট, হাজি মুহম্মদ মহসীন স্কোয়ার, আনোয়ার শা রোড, গড়িয়া থেকে শুরু করে খিদিরপুর, মেটিয়াবুরুজ সর্বত্র ছিল ভিড়ে ঠাসা।
বাজার ঘুরে দেখা গেল গত বছরের তুলনায় এবার সেমাই, লাচ্চার দাম বেশ বেড়েছে। কেজি প্রতি ৭০ রুপি থেকে ১৫০ রুপি পর্যন্ত দাম চাইছে বিক্রেতারা। আবার নাখোদা মসজিদের সামনে লাচ্চা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২৫০ রুপি প্রতি কেজি।
বিভিন্ন রকমের পাঞ্জাবি আর লুঙ্গি কিনতে গিয়ে ভিড়ের জন্য রবীন্দ্রসরণীর দোকানগুলোতে ক্রেতারা বসার জায়গা পাচ্ছে না। বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন রকমের ফল, বিরায়ানির চাল, মসলা।
ফলের বাজার এবার চড়া। আপেল, নাশপাতির কেজি ১০০ রুপি। আনারস প্রতিটি ৫০ রুপি। শসা ২৫ থেকে ৩০ রুপি প্রতি কেজি।
রংবেরঙের টুপি আর আতর কিনতে ভিড় করছেন উৎসাহীরা। টুপির দাম ২০ রুপি থেকে শুরু। ভালো মানের টুপি দেড়শো থেকে আড়াইশো রুপির মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। টুপি কিনতে নাখোদা মসজিদের সামনে লম্বা লাইন দেখতে পাওয়া গেল।
বিভিন্ন সুবাসের আতর দেদারসে বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ১০০ রুপির মধ্যে। এবার আতরে বাজারে চাহিদা `জান্নাতুল ফিরদৌস` আতরের জানালে বিক্রেতা ওমর আলি।
পিছিয়ে নেই নারীরাও। সালোয়ার কামিজ, চুড়িদার, শাড়ি আর বোরকার নজর কাড়া স্টক শেষ মুহূর্তে কিনতে অনেকেই আসছেন কলকাতার শপিং মলগুলোতে। মেহেদি আর বাহারি কাঁচের চুড়ি কিনতে ভিড় করছেন সবাই।
নিউমার্কেটর বাজার করছিলেন ঢাকার ধানমন্ডির গ্রিনরোডের বাসিন্দা রাজীব ইসলাম। তিনি বললেন, “আমাদের মতো ঢাকার অনেকই ঈদের বাজার করতে কলকাতায় আসেন। ঈদ ঢাকায় করব। ”
তিনি আরও বললেন, “এখানের সব জিনিসই ঢাকায় পাওয়া যায়। কিন্তু দাম অনেক বেশি। তাই এখানে আসা। বেড়ানো হলো, আবার ঈদের শপিং করে নেওয়া গেল। ”
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১২
আরডি/সম্পাদনা: রানা রায়হান, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর