শিলিগুড়ি: পশ্চিমবঙ্গের চ্যারাবান্দা সীমান্তে বেসরকারি ট্যাক্সির মালিক এবং চালকদের বিক্ষোভ ও অবরোধে নাকাল হচ্ছেন বাংলাদেশ থেকে আগত নাগরিকরা।
বুধবার স্থানীয় তৃণমূল নেতা লক্ষীকান্ত সরকারের নেতৃত্বে বাস অবরোধ করেন ট্যাক্সি মালিক ও চালকরা।
বেসরকারি ট্যাক্সির মালিক ও চালকদের অভিযোগ, রুট পারমিট ছাড়াই শিলিগুড়ির একটি সংস্থা এ স্থলবন্দর থেকে যাত্রীদের একটি বাসের পারমিট দিয়ে একাধিক এসি বাসে শিলিগুড়ি নিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে দীর্ঘদিন ধরে চ্যারাবান্দা থেকে শিলিগুড়ি রুটে চলা ট্যাক্সি মালিক ও চালকরা তাদের রুজি-রোজগার হারাতে বসেছেন।
চ্যারাবান্দার বিডিও সপ্তর্ষি নাগ জানিয়েছেন, রাজ্য পরিবহন মন্ত্রক একটি বাসের রুট পারমিট দিয়েছে। বুধবার বাসগুলোকে ছেড়ে দেওয়া হলেও বৃহস্পতিবার থেকে একটি বাসই চলবে।
এদিকে, বুধবার এ ঘটনার জেরে যাত্রীরা পড়েছেন বিপাকে।
ঢাকা-শিলিগুড়ি সরাসরি সরকারিভাবে কোনো বাস সার্ভিস না থাকলেও বাংলাদেশের কয়েকটি পরিবহন সংস্থা এ রুটে বাস চালায়। তারা ঢাকা থেকে যাত্রীদের বুড়িমারি স্থলবন্দর পর্যন্ত নিয়ে আসে। এরপর সীমান্ত অতিক্রমটা হাঁটাপথে করে চ্যারাবান্ধা থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত অন্য একটি বাসে নিয়ে যায়।
এ রুটটি ক্রমে লাভজনক হয়ে ওঠায় এখন একাধিক বাস চলে। কিন্তু চ্যারাবান্ধা থেকে শিলিগুড়ি রুটে একটি বাসেরই বৈধ পারমিট আছে চলাচল করার। বৃহস্পতিবার থেকে এই একটি বাস চলবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এতদিন বেআইনিভাবে একাধিক বাস চললেও এবার ঢাকা থেকে শিলিগুড়ি বাসে যাওয়ার অধিকাংশ যাত্রীরা হয়রানির স্বীকার হবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১২
আরডি/সম্পাদনা: কাজল কেয়া, নিউজরুম এডিটর; নূরনবী সিদ্দিক সুইন, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর