নয়াদিল্লি: ভারতের গুজরাট রাজ্যের নারোদা পাটিয়া দাঙ্গা মামলায় সাবেক মন্ত্রী মায়াবেন কোদনানি এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা বাবু বজরঙ্গীসহ ৩২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন আদালত। একই সঙ্গে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণের অভাবে ২৯ জনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বুধবার আহমেদাবাদের বিশেষ আদালত এ রায় দেন।
২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি গোধরায় ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের একদিন পরেই হরতালের ডাক দেয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। সেদিন নারোদা পাটিয়া এলাকায় একটি জমায়েত থেকে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। এ সময় সহিংসতায় ৯৭ জন নিহত হন, আহত হন ৩৩ জন। হতাহতের বেশিরভাগই মুসলমান।
এ ঘটনায় ৬১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন করা হয়। সে তালিকায় ছিলেন- তৎকালীন মন্ত্রী ও নারোদা অঞ্চলের বিজেপি বিধায়ক মায়া কোদনানি, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতা বাবু বজরঙ্গী, স্থানীয় বিজেপি নেতা বিপীন পঞ্চল, কিষাণ কোরানি, অশোক সিন্ধি এবং আইনজীবী রাজু চৌমল।
ঘটনার পরেই ৪৬ জনকে গ্রেফতার করে গুজরাট পুলিশ। এর পর, ২০০৮ সালে সুপ্রিমকোর্ট নিযুক্ত বিশেষ তদন্তকারী দল আরও ২৪ জনকে গ্রেফতার করে।
তবে, চার্জ গঠনের আগেই ৬ জনের মৃত্যু হয়। অপর দুই অভিযুক্ত মোহন নেপালি এবং তেজস পাঠক পলাতক।
২০০৯ সালের আগস্টে মামলার শুনানি শুরু হয়। মামলা চলাকালীনই এক অভিযুক্ত, বিজয় শেঠী, মারা যান।
প্রত্যক্ষদর্শী, নিহত এবং আহতদের পরিজন, চিকিৎসক, পুলিশ, সরকারি কর্মচারী, সাংবাদিকসহ মোট ৩২৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয় এ মামলায়।
গত ৩০ জুন মামলার রায়দান পিছিয়ে দেওয়া হয়। অবশেষে বুধবার বিশেষ আদালত মামলার রায় দিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১২
আরডি/সম্পাদনা: জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর