ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

রবীন্দ্রভারতীকে পদ্মা বোটের রেপ্লিকা উপহার

কলকাতা ব্যুরো | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১২

কলকাতা : আনুষ্টানিকভাবে বুধবার বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি ও শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীতে কবিগুরু রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের শিলাইদহে ব্যবহৃত ‘পদ্মা’ এবং ‘চপলা’ বোট ২টির রেপ্লিকা উপহার দিলেন।

এদিনের অনুষ্ঠানটি হয় বিচিত্রা সংগ্রহশালায়।

এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- পশ্চিমবঙ্গের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী, কলকাতায় বাংলাদেশ উপরাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম, ভারত সরকারের তথ্য সচিব সঞ্জীব মিত্তাল, রবীন্দ্র ভারতীর প্রাক্তন উপচার্য কৃপা সিন্ধু দাস, বাংলাদেশের বিখ্যাত রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী পাপিয়া সরওয়ার, মমতাজ বেগমসহ অন্যান্যরা।

সঞ্জীব মিত্তাল উদ্বোধনী ভাষনে বলেন, এই বছরই অনুষ্ঠান শেষ অনুষ্ঠান নয়- ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সংস্কৃতিক মেলবন্ধন ঘটাতে ভারত সরকার সূদীর্ঘ প্রয়াস নেবে।

আবুল কালাম আজাদ বলেন, বাংলাদেশের তরফ থেকে পদ্মা মডেল রবীন্দ্র ভারতীর হাতে তুলে দিতে পেরে গর্ব অনুভব করছি। তিনি মনে করেন, আগামী প্রজন্মের কাছে এই মডেলটি একটি মাইলস্টোন হয়ে থাকবে। দু’দেশের সংস্কৃতিক যোগাযোগকে দৃঢ় করার জন্য এই যৌথ প্রয়াস সফল হবে।

এদিনই বিশ্বভারতীতে সন্ধ্যা ৭টায় এ উপলক্ষে অনুষ্টানের আয়োজন করা হয়।

রবীন্দ্রনাথের সার্ধশতজন্মবর্ষ উপলক্ষে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগের অংশ হিসেবে পদ্মাবোটের রেপ্লিকাটি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে উপহার দিয়েছে বাংলাদেশের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।

চম্বল টিক কাঠের চার ফুট বাই এক ফুট তিন ইঞ্চির রেপ্লিকাটি কলকাতা ও শান্তিনিকতনে ইতোমধ্যেই এসে গিয়েছিল। তারই এদিন আনুষ্টানিক হস্তান্তর হল।

এই রেপ্লিকাগুলো সংগ্রহশালায় রেখে দিতে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা চেয়ে শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়। একইসঙ্গে কবিগুরুর ব্যবহূত স্মারক, ছবি ও তথ্য চাওয়া হয়েছিল।

বাংলাদেশ সময় : ২১০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১২
আরডি/সম্পাদনা : সুকুমার সরকার, কো-অর্ডিনেশন এডিটর  
kumar.sarkerbd@gmail.com

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।