ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ত্রিপুরা রাজ্যে মাছের আকাল

আগরতলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১২

আগরতলা (ত্রিপুরা): টানা দুই মাস বাংলাদেশ থেকে মাছ আমদানি বন্ধ। এ কারণে ত্রিপুরা রাজ্যে মাছের চরম আকাল দেখা দিয়েছে।

সরবরাহ কম থাকায় স্থানীয় মাছের দামও আকাশ ছোঁয়া।

রাজ্যের প্রধান প্রধান মাছের বাজারগুলো মূলত আগরতলা কেন্দ্রিক। যার মধ্যে অন্যতম বটতলা এবং মহারাজগঞ্জ বাজার। এ বাজারে এখন ভালো মাছ কিনতে ক্রেতাদের লাইন দিতে হচ্ছে। সকাল থেকেই মানুষ লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ছেন তাজা মাছের আশায়। আগরতলায় স্মরণকালে এমন ঘটনা ঘটেনি।

এদিকে, রাজ্যে মাছের চাহিদা মেটাতে নির্ভর করতে হচ্ছে অন্য রাজ্যের মাছের ওপর। এখানেও আছে সমস্যা; এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী অন্য রাজ্য থেকে আসা মাছ সতেজ রাখতে বেশি করে রাসায়নিক ব্যবহার করছে। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও তেমন কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না।

ত্রিপুরার বাজারে মাছ আসে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে। সড়কপথে এ মাছ আসতে সময় লাগে আট-দশ দিন। তার ওপর স্থানীয় ব্যবসায়ীরা রাসায়নিক মিশিয়ে দশ থেকে পনের দিন রেখে দিতে চান। ফলে বহিঃরাজ্যের তাজা মাছ খাওয়া যেনো এখন আকাশ কুসুম কল্পনা।  

অপরদিকে, বাংলাদেশ থেকে মাছ বড় জোর দুই দিনের মধ্যেই আগরতলার বাজারে এসে পড়ে। ফলে কিছুটা তাজা মাছই পেতেন আগরতলার মানুষ।

আখাউড়ার আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত হাবুল বিশ্বাস জানান, প্রতি দিন আখাউড়া সীমান্ত দিয়েই রাজধানীতে ঢুকত প্রায় পাঁচশো কেজির মতো মাছ। ত্রিপুরা-বাংলাদেশ সীমান্তে আটটি ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশন রয়েছে। তার সবক’টি দিয়েই মাছ আসত রাজ্যে। মাছ আমদানি বন্ধ থাকায় রাজ্যে ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

গত বছর ভারতজুড়ে এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ত্রিপুরার মানুষ দেশের মধ্যে গড়ে মাছ বেশি খান। ফলে পরিস্থিতি সহজেই অনুমেয়। একদিকে বাংলাদেশ থেকে মাছ আমদানি বন্ধ গত দুই মাস, অন্যদিকে ভিন রাজ্য থেকে যে মাছ আসছে তাতে মেশানো হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক। এ অবস্থায় ত্রিপুরার বাসিন্দাদের মাছ খওয়া প্রায় অসম্ভব এবং একই সঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১২
সম্পাদনা: জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।