ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

আরজি করকাণ্ড: গণ ইস্তফার হুমকি চিকিৎসকদের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০২৪
আরজি করকাণ্ড: গণ ইস্তফার হুমকি চিকিৎসকদের

কলকাতা: আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের কলেজ শাখার সেমিনার হল থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধারের পর নানা ঘটনা ঘটে গেছে। সর্বশেষ প্রতিষ্ঠানের জুনিয়র চিকিৎসকরা ১০ দফা দাবি নিয়ে কলকাতার এসপ্ল্যানেডে গত শনিবার থেকে আমরণ অনশন শুরু করেছেন।

ইন্টার্ন চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার বিচারের পাশাপাশি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের সুরক্ষাসহ দশ দাবি আদায়ে এ কর্মসূচি পালন করছেন তারা। এবার তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সিনিয়র চিকিৎসকরাও।

দাবি আদায়ে সরকারকে গণ ইস্তফা দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সিনিয়র চিকিৎসকরা। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) আরজি কর হাসপাতালের ৫০ চিকিৎসক প্রতীকী ইস্তফা দিয়ে প্রতিবাদও জানিয়েছেন।

তারা বলেছেন, সরকার দাবি না মানলে বুধবার (৯ অক্টোবর) থেকে তারা ধাপে ধাপে গণ ইস্তফার পথে হাঁটবেন। তারা পরিষেবা চালিয়ে যেতে চান। কিন্তু সরকার যেভাবে দায়সারা ভাব দেখাচ্ছে, তাদের হুঁশ ফেরাতে কঠিন এ কর্মসূচির দিকে যাচ্ছেন তারা।

সিনিয়র চিকিৎসকরা বলছেন, রোগীকে সেবা দেওয়া শুধু তাদের দায় নয়, একইসঙ্গে প্রশাসন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীরও দায় আছে। কোনো রোগীর ক্রিটিকাল ইউনিটে শয্যা প্রয়োজন হলে সেটি না পেয়ে তাদের স্বজনরা আমাদের ওপর চড়াও হচ্ছে। হাসপাতালে এক্সরে মেশিন খারাপ থাকলেও আমাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমরা কি সেবা দেওয়ার পাশাপাশি নিজেদের বেতন থেকে এসব প্রয়োজনীয় জিনিস কিনব? স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে এসব বিষয়ে নজরে নিতে হবে।

তারা আরও বলেন, নানা কারণে পরিষেবা ঠিক না হলে রোগীর স্বজনরা আরজি করের ক্ষতি করবে বলে হুমকি দিচ্ছে। এ অবস্থায় আমাদের নিরাপত্তা কোথায়? বিষয়গুলো বারবার বলার পরও সরকার কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে না। তাই বুধবারের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব এসব বিষয় সমাধানের জন্য আমাদের সঙ্গে না বসলে গণ ইস্তফা দেব আমরা।

জানা গেছে, আরজি কর হাসপাতালের পাশাপাশি এসএসকেএম মেডিকেল কলেজসহ আরও কিছু সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরাও এসব দাবি তুলে রাস্তায় নামতে পারেন। অনেক হাসপাতাল থেকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, আরজি করের ঘটনার পর থেকেই নিজেদের সুরক্ষার দাবি জানিয়ে আসছিলেন চিকিৎসকরা। পরে কর্মবিরতি শুরু করেন তারা। একাধিক সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল নির্মাণ হলেও পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ করেন। এরমধ্যে রোগীর স্বজনদের হাতে মারধরের শিকার হন সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। এ ঘটনার পর থেকে আন্দোলন জোরালো হতে থাকে। বর্তমানে ধর্মতলায় আমরণ অনশনে বসেছেন সাত জুনিয়র চিকিৎসক।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০২৪
ভিএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।