ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ত্রিপুরা রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা লোকায়ুক্ত আইনের আওতায় আসছে

আগরতলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১২

আগরতলা(ত্রিপুরা): রাজ্যের সমস্ত সরকারি কর্মচারী লোকায়ুক্ত আইনের আওতায় আসছে। সোমবার ত্রিপুরা লোকায়ুক্ত আইন সংশোধিত আকারে রাজ্য বিধানসভায় পাশ হয়েছে।



সোমবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার এই বিলটির প্রয়োজনীয়তার কথা বলতে গিয়ে বলেন, স্বচ্ছ প্রশাসন ও মানুষের স্বার্থ রক্ষা করাই এই বিলের মুখ্য উদ্দেশ্যে। দেশের দুর্নীতির মোকাবেলা করতে কেন্দ্রীয় সরকার যখন ইতিবাচক পদক্ষেপ নিচ্ছেনা তখন ত্রিপুরার মতো এক প্রান্তিক রাজ্যে লোকায়ুক্ত আইনকে কার্যকর করতে রাজ্য সরকার এক সদর্থক ভূমিকা নিয়েছে। জন প্রতিনিধিদের সঙ্গে সঙ্গে সরকারি কর্মচারীদেরও লোকায়ুক্ত আইনের আওতায় আনতেই এই বিল। কয়েক মাস আগেই এই আইনটি রাজ্যে চালু হয়। এই আইন অনুযায়ী যে কোন নির্বাচিত জন প্রতিনিধির উপর কোন অভিযোগ এলে তদন্ত করা যাবে।

কয়েক মাস আগে এই আইন পাশ হবার পর দাবি উঠে সরকারি কর্মচারী এবং আধিকারিকদেরও এই আইনের আওতায় আনার জন্য। কারণ এই অংশের মানুষও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়ছেন। ফলে সরকারকে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। এবার এই আইনের আওতায় আনা হচ্ছে সরকারি কর্মচারীদেরও।

গত বিধানসভার অধিবেশনেই সরকার জানিয়েছিল আইনটির সংশোধন এবং পরিমার্জন করা হবে। সোমবার সেই সংশোধিত লোকায়ুক্ত আইনই পাশ হল রাজ্য বিধানসভায়।

সম্প্রতি রাজ্যের ১০ জন উচ্চ পদস্থ সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। মনে করা হচ্ছে এ থেকেই সরকার শিক্ষা নিয়ে কঠোর হতে যাচ্ছে সরকারি কর্মচারীদের দুর্নীতি রুখতে। ২০০৮ সালেই লোকায়ুক্ত আইন পাশ হয়েছিল রাজ্য বিধান সভাতে। এর পর এই আইনকে রাজ্যে চালু করার জন্য দেশের রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের প্রয়োজন ছিল।   রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য তা পাঠানো হয়েছিল দিল্লিতে।

এ বছর প্রথম দিকে রাষ্ট্রপতি প্রতিভা দেবী সিং পাতিল স্বাক্ষর করেছেন ত্রিপুরার এই আইনে। ফলে এখন আইন লাগু করার ক্ষেত্রে আর কোন বাধা রইলো না। উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে ত্রিপুরাতেই প্রথম চালু হয় এই ধরনের একটি আইন। এই আইন অনুযায়ী যে কোন জনপ্রতিনিধির উপর অভিযোগ উঠলে তা তদন্ত করা যাবে। লোকায়ুক্ত আইনের আওতায় থাবেন মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে গ্রাম প্রধান পর্যন্ত। সরকারি সমস্ত কর্মচারী থাকবেন এর আওতায়। সমগ্র দেশভর এধরনের একটি আইন পাশ করানোর জন্য আন্দোলন করছেন সমাজসেবী আন্না হাজারে। তারা চাইছেন জন লোকপাল বিল।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১২
সম্পাদনা: নূরনবী সিদ্দি সুইন, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।