ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ভারতে নয় মাসে ৬৯টি বাঘ, ৩৯টি গন্ডারের মৃত্যু

নয়াদিল্লি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০১২

নয়াদিল্লি: ভারতের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে গত ৯ মাসে ৬৯টি বাঘ ও ৩৯টি গন্ডারের মৃত্যু হয়েছে।

ভারতের বনমন্ত্রক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।



ভারতের বনমন্ত্রকের একটি সূত্র জানিয়েছে, ২০১১ সালের তুলনায় বাঘের মৃত্যুর সংখ্যা চলতি বছরে ৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০১ সালের পর এই প্রথম এত বাঘের মৃত্যু ঘটল। ওই বছর ৭২টি বাঘ মারা গিয়েছিল।

জাতীয় বন্যপ্রানী পর্ষদের সদস্য কিশোর রিথে বাংলানিউজকে বলেছেন, ৬৯টি বাঘের মধ্যে ৪১টি নিহত হয়েছে চোরাশিকারীদের হাতে। বেশীর ভাগ চোরাশিকারের ঘটনা ঘটেছে ব্যাঘ সংরক্ষণ অঞ্চলের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে।

২০১০ সালের বাঘ শুমারী অনুসারে,ভারতে বাঘের সংখ্যা ১ হাজার ৭শ ৬টি। ওই বছরই উলেখ্যযোগ্য হারে বাঘের সংখ্যাবৃদ্ধি পাওয়া মহারাষ্ট্রে ও উত্তরাখন্ড রাজ্যে এইবছর ১২টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে।

ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্য আসামের কাজীরাঙার জাতীয় উদ্যানের একশৃঙ্গ গন্ডার এইবছর বন্যা ও চোরাশিকারের ফলে সংকটে রয়েছে। গত জুন ও সেপ্টেম্বরের বন্যায় ২৮টি গন্ডারের নিহত হয়েছে। অন্যদিকে, চোরাশিকারে হাতে নিহত হয়েছে ২টি গন্ডার।


পরিবেশমন্ত্রক সুত্রে জানা গেছে, বন্যার পর জারি হওয়া সর্তকতা মানা হয়নি। যে কারণে চোরাশিকারীরা অবাধে কাজীরাঙায় প্রবেশ করছে।

কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী জয়ন্তী নটরাজন অবশ্য এর জন্য বন দফতরের কর্মীদের অভাবদেই দায়ী করেছেন।

২০১১- এর শুমারী অনুসারে কাজীরাঙায় ২ হাজার ২শো ৯০টি গন্ডার ছিল।

বনকর্মীদের হাতে আটক ৩ চোরাশিকারীদের সঙ্গে জেরা করে জানা গেছে, তারা প্রতিটি গন্ডারের শৃঙ্গ ৪০ লাখ রুপিতে বিক্রি করেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে এখন একটি বাঘের দাম ৩০ লাখ রুপি এও তারা জানিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১২
আরডি/সম্পাদনা: বেনু সূত্রধর,নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।