কলকাতা: এখন তিনি আমজনতা নন, রাষ্ট্রের কর্ণধার। তবু ইচ্ছাই প্রাধান্য পেল তার।
শনিবারই ভারতীয় বায়ুসেনার বিশেষ বিমানে কলকাতা বিমানবন্দরে আসেন তিনি। রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি৷
এরপর বায়ুসেনার হেলিকপ্টারে কীর্ণাহারের উদ্দেশে রওনা হয়ে যান রাষ্ট্রপতি৷ বিকেল ৪টা নাগাদ কীর্ণাহারে আসেন তিনি।
কড়া নিরাপত্তার বলয়ে এখন গোটা কীর্ণাহারের মিরাটি গ্রাম৷ বাসভবনের প্রবেশপথে মেটাল ডিটেক্টর৷ মন্দির চত্বরে সিসিটিভি৷ চলছে পুলিশি টহল৷ পরিচয়পত্র দেখিয়ে মুখার্জি ভবনে ঢুকতে হচ্ছে আত্মীয়দেরও৷
নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে রাষ্ট্রপতির ছবি তোলাতেও৷ তাই কাপড় দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে বাড়ি এবং মন্দির চত্বর৷
রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তায় সেনা জওয়ানদের সঙ্গে রয়েছে রাজ্যের ৭০০ পুলিস ও কর্মকর্তা। কীর্ণাহার থেকে মিরাটির প্রণব মুখার্জির বাসভবন পর্যন্ত যানবাহনও নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সড়কের ৫ ফুট পর পর মোতায়েন করা হয়েছে পুলিস।
নিরাপত্তাজনিত কারণে এদিন সকালে তিনি স্থানীয় নদীতে কলাবউকে স্নান করাতে যেতে পারেননি এবার। প্রণবের পরিবর্তে তার পুত্র জঙ্গিপুরের সদ্য নির্বাচিত সাংসদ অভিজিৎ এই ধর্মীয় প্রথাটি পালন করেন। এরপর সকাল ৭টায় পুজার কাজ শুরু হয়। পুজো চলাকালীন চণ্ডি পাঠ করেন রাষ্ট্রপতি।
দুপুরে পুজো শেষ হলে তিনি তার বাবার নামাঙ্কিত মিরাটি কামদাকিঙ্কর মুখার্জি স্মৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেন। এরপর তারই প্রতিষ্ঠিত ক্লাব মিরাটি কিশোর সমিতি তাকে সংবর্ধনা দেয় রাষ্ট্রপতি হওয়ার জন্য।
সন্ধ্যায় সন্ধিপূজা ও আরতিতে অংশ নেন রাষ্ট্রপতি।
অভিজিত্ মুখার্জি এদিন বলেন, সবাই তার (রাষ্ট্রপতি প্রণব) সঙ্গে দেখা করতে চাইছেন। কিন্তু নিরাপত্তাজনিত কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। এবারও প্রায় আড়াই হাজার মানুষকে আমরা মায়ের ভোগ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছি।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১২
আরডি/একে